মানুষ হলো সৃষ্টির সেরা জীব। কোনো মানুষকেই ছোটো করে দেখা উচিত না। সমাজে বিভিন্ন পেশার মানুষ বসবাস করে থাকে। সমাজে চলতে গেলে তাই বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কিছু কিছু কারণে তৈরী হতে পারে ঝামেলার আর তাই বলে কাউকে প্রহার করতে হবে এইটা কোনো সমাধান না। সম্প্রতি জানা গেল এক রিকশওয়ালে হাতুরী দিয়ে পেটালেন এলজিইডি কর্মকর্তা।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর উপজেলায় (এলজিইডি) উপ-সহকারী প্রকৌশলী কর্মকর্তা সেলিম হোসেন মোটরসাইকেল চাপা দিয়ে রিকশাচালককে হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করেছেন। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই রিকশাচালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জুন) সকাল ১০টার দিকে উপজেলার টিএনটি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত রিকশাচালক হান্নান হোসেন (৩০) ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার মোহনপুর গ্রামের নাসিম উদ্দিনের ছেলে। তিনি কালিয়াকৈর উপজেলার ছোট লতিফপুর এলাকায় থাকেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, হান্নান হোসেন প্রতিদিনের মতো রিকশায় করে বাসা থেকে বের হন। পরে কালিয়াকৈর বাজার থেকে যাত্রী নিয়ে টিএনটি এলাকায় পৌঁছালে ওই কর্মকর্তার মোটরসাইকেলের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়।
এ সময় ওই কর্মকর্তা ক্ষিপ্ত হয়ে মোটরসাইকেল থামিয়ে তার কাছে থাকা হাতুড়ি দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর শুরু করেন। হাতুড়ির আঘাতে রিকশাচালকের মাথা ফেটে যায়। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন দৌড়ে গেলে ওই কর্মকর্তা মোটরসাইকেল নিয়ে চলে আসেন। পরে স্থানীয়রা রিকশাচালককে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। খবর পেয়ে কালিয়াকৈর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।
কালিয়াকৈর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
প্রসঙ্গত, আত্ম-আহমিকার জন্য মানুষকে মানুষ বলে গন্য করেনা সমাজের এক শ্রেণীর মানুষ। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি হচ্ছে অকল্পনীয়ভাবে। একজন রিকশাওয়ালাকে এরকম অমানবিকভাবে পিটানোটা সত্যিই খুব দুঃখজনক একটি ঘটনা। মানুষের মনুষ্যতের যে কতটা অধঃপতন হয়েছে সেইটা এই ঘটনা না দেখলে বুঝাই যেত না।