বর্তমানে দেশের টক অব দ্যা টাউন হয়েছে কয়েকদিন আগে ভাইরাল হওয়া ছাত্র আর শিক্ষিকার বিয়ের ঘটনা। আর সেই ঘটনা এখন মোড় নিয়েছে শোকে। আজ ঐ নারীর নিথর দেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
এ দিকে নাটোরের গুরুদাসপুরে শিক্ষিকা খায়রুন নাহার নাসরিনের (৪০) ঝুলন্ত লা’শ উদ্ধারের ঘটনায় শিক্ষকের ভাতিজা নাহিদ হোসেন (৩০) দায়ী করেছেন শিক্ষিকার স্বামী মামুনকে।
নাহিদ বলেন, খালামনির স্বামী মামুন একজন মাদকাসক্ত। বিয়ের পর থেকে এখন পর্যন্ত ৫ লাখ টাকা ও একটি পালসার মোটরসাইকেল নিয়েছেন। সম্প্রতি মোটরসাইকেলটি ভালো না বলে আরও দামি মোটরসাইকেল চেয়েছেন বলে জানান। এ নিয়ে তার খালা বেশ চাপে ছিলেন। সম্প্রতি গুরুদাসপুরে মাদক নিয়ে কিছু দুষ্কৃতীর মধ্যে তোলপাড় হয়। ওই ঘটনায় তাকে আসামি করা হয়েছে। এসব বিষয় নিয়ে মানসিক, পারিবারিক ও বিভিন্ন চাপের কারণে তিনি অশান্তিতে ছিলেন। সব মিলে এটা ঘটতে পারে। তবে এটা আত্মহত্যা নাকি হত্যা তা আমরা নিশ্চিত নই।
তিনি আরও বলেন, বিয়ের ঘটনা ভাইরাল হওয়ার পর থেকে তার আত্মীয়-স্বজন, সহকর্মী ও পরিচিতজনরা তাকে নিয়ে সমালোচনা করছেন। কেউ এটাকে ইতিবাচকভাবে নিয়েছেন আবার কেউ নেতিবাচকভাবে নিয়েছেন। এসব বিষয় নিয়ে চাপে পড়েন নাসরিন।
নাহিদ আরও বলেন, খায়রুনের আগের স্বামী বা সন্তানের কোনো চাপের কথা তারা শোনেননি। কিন্তু কেন সে আত্মহত্যা করতে পারে তা বুঝতে পারছে না। তদন্ত করলেই বিষয়টি বেরিয়ে আসবে বলে জানান এই যুবক।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা নাটোর পিবিআই পুলিশ সুপার শরীফ উদ্দিন জানান, জেলা পুলিশ ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে। আর ঘটনার ছায়া তদন্ত করছে পিবিআই পুলিশ। যত দ্রুত সম্ভব ঘটনার রহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছে জেলা পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গেল বছরের ডিসেম্বরে গোপনে বিয়ে করেন তারা। আর এর পরে ভাইরাল হয় তাদের বিয়ের কথা। আর সেই থেকেই স্যোশাল মিডিয়ায় ট্রল শুরু হয় তাদের নিয়ে। অনেকেই বলছেন এই কারনেই হয়তো ঐ নারী বেছে নিয়েছেন এই পথ।