নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে কেকে কোনো সমস্যা হয়নি। কেকে ম্যানেজার হিতেশ ভাট মিডিয়াকে জানিয়েছেন, গায়ক হোটেলে এসেই অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। পুলিশ কেকের এই অস্বাভাবিক প্রয়ানে একটা মামলাও দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। এবং এই মামলার তদন্ত শুরু করেছে। একই দিন হিতেশ ভাটকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল পুলিশ। কেকের প্রয়ান নিয়ে পুলিশের কাছে জবানবন্দি দেওয়ার পর গণমাধ্যমের সামনে মুখ খুললেন তিনি।
চলে গেলেন বলিউডের জনপ্রিয় গায়ক কৃষ্ণকুমার কুন্নাথ ওরফে কেকে। জীবনের শেষ গানটি গেয়েছেন কলকাতার নজরুল মঞ্চে। হোটেলে ফিরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন গায়ক। তাকে দ্রুত একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রাত সাড়ে ৯টার দিকে চিকিৎসক তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। কেক ম্যানেজার রিতেশ ভাট গণমাধ্যমকে জানান, নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠান চলাকালে কেক নিয়ে কোনো সমস্যা হয়নি। সেখান থেকে হোটেলে ফিরলে লবিতে থাকা ভক্তরা তার সঙ্গে ছবি তুলতে চান। কেকে ওদের বলল, শরীরটা ভালো লাগছে না। তারপর রুমে গেল।
রুমে ঢুকে সোফায় বসে বমি করে। তারপর মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। শরীর খুব ভারী হয়ে যাওয়ায় রীতেশ তাকে একা তুলতে পারেনি। হোটেলের কর্মীদের সহায়তায় তারা গায়ককে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা তাকে প্রয়াত ঘোষণা করেন। এদিকে, গায়কের প্রয়ানের ঘটনায় কলকাতার নিউমার্কেট থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করছে। এদিন (বুধবার) হোটেল ম্যানেজার হিতেশ ভাটকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। হোটেলের সিসিটিভি ফুটেজও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এছাড়া নজরুল মঞ্চে অনুষ্ঠানের আয়োজকদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর কেকের মাথায় ও মুখে ক্ষত রয়েছে বলে জানা গেছে। যা অনেকের মনেই প্রশ্ন তুলেছে। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, কেকের মুখে কিছু কাটা দাগ রয়েছে, যা সম্ভবত কেকটি পড়ে যাওয়ার কারণে হয়েছে। অভিযোগ করা হচ্ছে যে তার কপালে ও ঠোঁটে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে, তবে কিছুই নেই। রক্তপাত হয়নি। ৫৪ বছর বয়সী এই গায়ক নব্বইয়ের দশক থেকে বাংলা, হিন্দি, তামিল, কন্নড়, মালায়ালম, মারাঠি এবং অসমীয়া ভাষায় অনেক জনপ্রিয় গান গেয়েছেন। তাঁর জীবনের শেষ গানের স্মৃতি হয়ে ওঠে কলকাতা।
উল্লেখ্য, কোলকাতার এই সফরেও কেকে-র ম্যানেজার কেকের সঙ্গে ছিলেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত হওয়া ভিডিওতে দেখা যায় নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠানটি শেষ হয়ে গেলে সেখান থেকে দ্রুত সেই শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে পালিয়ে যেতে দেখা যায়। তারপর গাড়িতে উঠে জনপ্রিয় এই শিল্পী তার ম্যানেজারকে বললেন, আমার ঠান্ডা লাগছে, এসি বন্ধ করুন। হাত-পায়ে টান লাগছে এমন কথাও বলেছিলেন কেকে এমনই একটা বর্নানা দিয়েছেন কেকের ম্যানেজার।
সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস