স্ত্রীর প্রয়ানের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রযোজক সোহানুর রহমান সোহান চলে যান না ফেরার দেশে। মঙ্গলবার স্ত্রীর মৃ”ত্যুর পর বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন সোহান। ওই রাতে উত্তরায় তার ম”রদেহ দেখে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন আরেক প্রখ্যাত নির্মাতা কাজী হায়াত।
এ সময় তিনি বলেন, বুধবার সোহানের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে।
সে আমাকে কান্নাকাটি করে বলল, ‘হায়াৎ ভাই, আমার জন্য দোয়া করবেন যেন আমি স্ত্রী হারানোর শোক সইতে পারি। আল্লাহ যেন আমাকে ধৈর্য দেন।’
হায়াত বলেন, আমি মনে করি সোহান ভাগ্যবান যে তাকে তার স্ত্রীর দুঃখ বেশিদিন সইতে হয়নি। সব ছিন্ন করে তিনিও চলে গেলেন।
কাজী হায়াৎ বলেন, নির্মাতা সোহানের শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। তিনি একজন দক্ষ পরিচালক ছিলেন। পরিচালকরা সাধারণত কম বিখ্যাত হন, তবে সোহান একজন বিখ্যাত পরিচালক ছিলেন। তার জন্য সবাই দেওয়া করবেন।
শুধু কাজী হায়াৎ নয়, ইলিয়াস কাঞ্চন, শাহীন সুমন, আফসানা মিমি, রিয়াজ, নিপুনসহ শোবিজ অঙ্গনের অনেক নামকরা মুখ সোহানকে শেষবারের মতো দেখতে তার উত্তরার বাসায় ছুটে আসেন।
সোহানুর রহমান সোহান ১৯৬০ সালের ১৫ অক্টোবর বগুড়ার ফুলবাড়ীতে জন্মগ্রহণ করেন। সোহান সত্তরের দশকের শেষ দিকে শিবলী সাদিকের সহকারী হিসেবে তার চলচ্চিত্র জীবন শুরু করেন। তার পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ছিল ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’।
এই পরিচালকের উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হলো: ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’। তাছাড়াও তিনি অনেক জনপ্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দিয়েছেন। যে গুলোর কয়েকটি হলো স্বজন, আমার ঘর আমার বেহেশত, অনন্ত ভালোবাসা।