নারায়ণগঞ্জ বন্দরে এক নারীকে জোর পুর্বক ভয় দেখিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে লাবু নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত প্রায়ই তাকে সব কিছু প্রকাশ করে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে বার বার একই কাজ করতেন জোর পুর্বক ভুক্তভোগী নারীর সাথে। তবে ভুক্তভোগী সব ভয়ভীতি উপেক্ষা করে অবশেষে আইনি সহায়তা গ্রহন করেছেন বলে স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে। ভুক্তভোগী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন লাবুর বিরুদ্ধে, ভুক্তভোগী গৃহবধুর এই লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে লাবুকে আটক করেছে পুলিশ।
নারায়ণগঞ্জ বন্দরে এক গৃহবধূকে (২৪) বারবার শ্লীলতাহানির অভিযোগে লাবু নামে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে বার বার একই কাজে লিপ্ত হতেন অভিযুক্ত। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূ লাবু ও তার স্ত্রী রাশিদা বেগমের বিরুদ্ধে ২০ জুন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ এবং নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। মামলা দায়েরের দিন বন্দর থানাধীন কুড়িপাড়ার লালখারবাগ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামি লাবুকে আটক করে পুলিশ। তবে লাবুর স্ত্রী রাশিদা বেগম পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পুলিশ লাবুকে ২০ জুন দুপুরে আদালতে পাঠায়। মামলা সূত্রে জানা গেছে, নিহত গৃহবধূ একই এলাকার প্রয়াত আব্দুল মালেক মিয়ার ছেলে লাবু ও তার স্ত্রী রশিদা বেগমের প্রতিবেশী। গত ২০ জুন ভিকটিমের গৃহবধূ লাবু মিয়ার বাড়িতে রান্না করতে এলে লাবু তাকে শ্লীলতাহানি করে ভিডিও ধারণ করে। পরে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার ভয় দেখিয়ে একাধিকবার তার শ্লীলতাহানি করে। পরে ভুক্তভোগী লাবুর স্ত্রী রাশিদা বেগমকে বিষয়টি জানালে রাশিদা ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। শ্লীলতাহানির ভিডিও ভাইরাল করার হুমকি দেন। এরপর গৃহবধূ থানায় মামলা করেন। বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দীপক চন্দ্র সাহা বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বাড়িতে রান্না করতে আসলে একা পেয়ে এক গৃহবধুকে জোর করে শ্লীলতাহানি করে লাবু নামে এক ব্যাক্তি। অভিযুক্ত তাতেই খান্ত হননি, বরং তিনি ঘটনার সময়ের সম্পুর্ন মুহুর্ত ভিডিওর মাধ্যমে ধারন করে রাখেন। সেই ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার কথা বলে একাধীক বার একই কাজ করেন অভিযুক্ত ব্যাক্ত। এক পর্যায়ে ভুক্তভোগী নারী অভিযুক্তের স্ত্রীর কাছে বিষয়টি সব খুলে বললে সেও তাকে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী গৃহবধু বাধ্য হয়ে অবশেষে আইনি সহায়তা নেন।