কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুই ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ২০ জনে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে আন্তঃনগর এগারোসিন্ধুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার মোশাররফ জানান, সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত এই ভয়াবহ দুর্ঘটনায় অন্তত ২০ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, দুর্ঘটনার কারণে এগারোসিন্ধের গোধুলির তিনটি বগি থেকে একে একে মরদেহ তোলা হচ্ছে। গাড়ির নিচে চাপা পড়েছে বহু মানুষ। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা তাদের উদ্ধার করছে।
এদিকে এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত বহু মানুষ আহত হয়েছেন। পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ইতোমধ্যে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। নিহতের সংখ্যা শতাধিক হতে পারে বলে ধারণা করছে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স। এক ক্ষুদে বার্তায় এ আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে। ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে বলে জানা গেছে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, ঢাকা থেকে একটি কন্টেইনার ট্রেন ভৈরব স্টেশনে প্রবেশ করছিল। তার কিছুক্ষণ আগে ভৈরব থেকে এগারোসিন্দুর ট্রেন ঢাকার উদ্দেশ্যে ছেড়েছিল। জগন্নাথপুর রেলক্রসিং এলাকায় কন্টেইনার ট্রেনটি এগারোসিন্দুর ট্রেনের শেষ দুই-তিনটি বগিকে ধাক্কা দেয়। এটি মূলত সিগন্যালিংয়ে কিছু জটিলতার কারণে ঘটেছে।
ভৈরব বাজার ফায়ার স্টেশনের ফাইটার রাসেল বলেন, বিকাল ৪টার দিকে আমরা দুর্ঘটনার খবর পাই। আহতদের উদ্ধারে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে কাজ করছে। দুর্ঘটনায় নিহতের সংখ্যা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এ পর্যন্ত অন্তত ২০ জন নিহত হয়েছেন। আরও হতাহতের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এদিকে দুর্ঘটনার পর হাজার হাজার উৎসুক মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় জমায়। দুর্ঘটনা কবলিত ট্রেনের যাত্রীদের স্বজনরা এসেছেন। স্টেশন মাস্টারের গাফিলতির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ তাদের।