ভোলায় মিছিলের এক পর্যায়ে পুলিশ-বিএনপি সংঘ’/র্ষের ঘটনায় বিএনপির দুই নেতা প্রয়াতের ঘটনায় পুলিশকে দায়ী করেছে বিএনপি। এ দিকে বিএনপি নেতারা এই ধরনের ঘটনায় যারা দায়ী তাদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন। এদিকে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় যিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে অবিলম্বে তাদের বিচার দাবি করেছেন। এ সময় প্রয়াতদের পরিবারের ক্ষতিপূরণের দাবি জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (০৪ আগস্ট) দুপুরে ভোলা জেলা বিএনপি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
এর আগে পুলিশের সঙ্গে বিএনপি নেতাকর্মীদের সংঘ”র্ষে দুজন প্রয়াতের প্রকৃত ঘটনা জানতে গয়েশ্বর চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) ভোলায় পৌঁছে ১০ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে জেলা কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।
গত ৩১ জুলাই ভোলায় জেলা বিএনপির বিক্ষো”ভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে সং’ঘ’/র্ষের ঘটনায় গু”লিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই প্রয়াত হন স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আবদুর রহিম। ওই সং”ঘর্ষের ঘটনায় বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহ’ত হন।
সেই বিক্ষো’ভ সমাবেশে পুলিশের সঙ্গে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় গু”লিবিদ্ধ হয়ে আহ’ত হন জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে প্রথমে ভোলা সদর হাসপাতাল ও পরে বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
তার শারীরিক অবস্থার মা”রাত্মক অবনতি হওয়ার পরে তাকে ওই রাতেই ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। ঢাকায় একটি নামকরা বেসরকারী হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। দুদিন তাঁকে ইনটেনসিভ কেয়ারে রাখার পর গতকাল বুধবার অর্থাৎ ৩ আগস্ট বিকাল তিনটার দিকে না ফেরার দেশে চলে যান নুরে আলম।