গত সোমবার অর্থাৎ ১লা আগস্ট ভোলা বিএনপি একটি সরকার বিরোধী মি”ছিল বের করে। সেই সময় ঐ মিছিলের একটি পর্যায়ে বিশৃংখলা সৃষ্টি হলে পুলিশের সাথে বিএনপি অংশ নেওয়া নেতাকর্মীদের সাথে তুমুল সংঘ/”র্ষের ঘটনা ঘটে। ওই ঘটনায় একজন প্রয়াত হন এবং সেখানে কমপক্ষে ৬০ জনের মত লোক হতাহতের ঘটনা ঘটে। প্রয়াত ঐ যুবকের নাম আব্দুর রহিম তিনি দক্ষিণ দিঘলদী ইউনিয়নের বাসিন্দা বলে জানা গেছে, পরবর্তীতে আরেক নেতাও প্রয়াত হন। এ ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
বিএনপি লাশ ফেলতে চায়, তারই অংশ হিসেবে ভোলার ঘটনা ঘটানো হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, “বিএনপি সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ৩১ জুলাই ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে গু”লি চালিয়েছে। এতে একজন পুলিশ সদস্য গু”লিবিদ্ধ হন।”
মঙ্গলবার (২ আগস্ট) দুপুরে সচিবালয়ে সমসাময়িক বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। পরে তথ্য মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিএনপি নেতাকর্মীরা এক পুলিশ সদস্যকে স্থানীয় বিএনপি কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মা”রধ’র করেছে। বিএনপির সহযোগী সংগঠনের সদস্য হিসেবে যে যুবক প্রয়াত হয়েছেন, চিকিৎসক বলছেন, হেড ইন’জুরির অর্থাৎ ইটপাটকেলের আঘা”তে প্রয়াত হয়েছেন। বিষয়টি তদন্তাধীন, তদন্তে সব বেরিয়ে আসবে। কিন্তু বিএনপি লা’/শ ফেলতে চায়, তারই অংশ হিসেবে ভোলার ঘটনা ঘটিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “ভোলায় সমাবেশ করবে বিএনপি পুলিশকে আগে থেকে জানায়নি। তবে পুলিশ সহযোগিতা করেছে যাতে তারা সমাবেশ করতে পারে। তারা দোকানপাট ভা”ঙচুর করে, পুলিশের দিকে ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশকে কাঁদানে গ্যাস ছুড়তে হয়। শুধু ইটপাটকেল নয়, পুলিশকে লক্ষ্য করে গু/’লি চালায় বিএনপি। গু”/লিবিদ্ধ হন এক কনস্টেবল। এছাড়া এক পুলিশ সদস্যকে ধরে পার্টি অফিসে নিয়ে গিয়ে মা”রধর করে।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা এখনো রাজপথে নামেনি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা এখনো আমাদের নেতাকর্মীদের সেই আহ্বান জানাইনি, তবে নেতাকর্মীদের প্রতি সজাগ দৃষ্টি রাখতে অনুরোধ করছি। বিএনপি সারাদেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করছে।
বিএনপির হর”তাল ডাকার সম্ভাবনার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান বলেন, “বিএনপি অতীতেও হরতাল ডেকেছিল, যখন সারাদেশে যানজট ছিল। হরতাল ডেকে তারা বুঝতে পেরেছে যে, কেউ তাদের ডাকে সাড়া দেয়নি। আর তারা যদি অবরোধ ডেকে দিনের পর দিন জনগণকে অবরুদ্ধ করে রাখার চেষ্টা করে, জনগণ তাদের প্রতিহত করবে।”
বিএনপি নেতার প্রয়ানের পর বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ মিছিল বের করে বিএনপির নেতাকর্মীরা। তবে ঘটনার বিষয় নিয়ে আ.লীগের তরফ থেকে ভিন্ন দাবি তোলা হয়েছে। আ.লীগ সরকারকে পতনের জন্য মিছিল করতে গিয়ে তারা কোন কারন ছাড়াই পুলিশের ওপর হা”/মলা চালায় যার কারণে এই ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।