নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে মন্ত্রীত্ব হারানোর পর একপর্যায়ে গত শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) কানাডার উদ্দেশ্যে দেশত্যাগ করেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ হাসান। কিন্তু দুর্ভাগ্যবসত কানাডায়ও প্রবেশ করতে পারেননি তিনি। তাই এরপর দুবাই যাওয়ার চেষ্টা করেন ডা. মুরাদ। কিন্তু সেখানেও একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয় তাকে। আর এরই জের ধরে আবারো দেশে ফিরে আসার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) তিনি দুবাই থেকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ( ইকে-৫৮২) বিমানে দেশে ফিরছেন সকাল ৭টা ৫৬ মিনিটের ফ্লাইটে এমন খবরে সাংবাদিকরা ভোর থেকেই ভিড় করেন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে।
কিন্তু নির্ধারিত বিমানটি ল্যান্ড করলেও এই ফ্লাইটে ডা. মুরাদ হাসান বাংলাদেশে আসেননি।
এর আগে ডা. মুরাদ হাসানকে কানাডায় ঢুকতে দেয়নি দেশটির বর্ডার সার্ভিস এজেন্সি। সেখান থেকে তাকে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফিরতি ফ্লাইটে দুবাই পাঠানো হয়।
রোববার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা ২০ মিনিটে তিনি ঢাকায় ফেরার প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছিলেন বলেও জানা যায়। তবে, ডা.মুরাদের বাংলাদেশে ফেরত আসা কিংবা তার অবস্থানের ব্যাপারে কিছুই জানেন না বলে সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
নারীর প্রতি অশোভন মন্তব্য করে বিতর্কিত হওয়া সাবেক তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী ডা. মুরাদ শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় ১টা ৩১ মিনিটে টরন্টো পিয়ারসন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন।
পরে বাংলাদেশে নারীদের হয়রানি, অপমান এবং নির্যাতনের কারণে তাকে ইমিগ্রেশন জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সেই সঙ্গে তার কাছে বিভিন্ন ভিডিও, ছবি ও সংবাদ এর বিষয়ে জানতে চাওয়া হয়। তিনি কী কারণে কানাডায় এসেছেন, সে বিষয়েও জানতে চাওয়া হয়। এ সময় কোনো যুক্তিযুক্ত কারণ দেখাতে ব্যর্থ হন ডা. মুরাদ। তার সরকারি ও ব্যক্তিগত পাসপোর্ট জটিলতার বিষয়েও কানাডা ইমিগ্রেশন জানতে চাইলে কোনো সঠিক উত্তর দিতে না পারায় তাকে কানাডা পিয়ারসন এয়ারপোর্ট থেকে পুনরায় দুবাইয়ে ফেরত পাঠানো হয়।
এরআগে জিয়া পরিবার নিয়ে কটুক্তি ও চিত্রনায়িকা মাহি এবং ইমনের সঙ্গে একটি ফোনালাপ সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই ব্যাপক আলোচনায় আসেন ডা. মুরাদ হাসান। আর এরই জের ধরে পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে মন্ত্রীসভা থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। হঠাৎ করেই সবকিছু হারিয়ে বেশ বিপাকে পড়েছেন তিনি।