আজ রবিবার (১৭ জুলাই) কক্সবাজারের ঈদগাঁওতে ভোররাতে বাসায় পুলিশ দেখার পরপরই হার্টঅ্যাটাক করে বসেন পরোয়ানা ভুক্ত আসামি নুরুল কবির লেদু (৫৬)। এরপর নিকস্থ একটি হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানেই প্রাণ হারাণ তিনি। উপজেলার ইসলামাবাদ ইউছুপের খীল এলাকায় এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে বলে সংবাদ মাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঈদগাঁও থানার ওসি মো. আবদুল হালিম।
লেদু পেশায় প্রবাসী থাকলেও হৃদরোগের কারণে গত ঈদুল ফিতরের পর স্থায়ী ভাবে দেশে চলে আসেন। এখন তিনি এলাকায় ব্যবসা করতেন।
ঈদগাঁও থানার ওসি আব্দুল হালিম জানান, ২০১৯ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি মারামারির ঘটনায় কক্সবাজার সদর থানায় দায়ের করা মামলার ৪ নং আসামি নুরুল কবির লেদু। সে দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিল। সেই ক্ষেত্রে রোববার রাত ২টার দিকে খবর আসে পলাতক আসামি নুরুল কবির লেদু বাড়িতে অবস্থান করছেন। সে অনুযায়ী তাকে গ্রেফতার করতে যায় পুলিশ।
ওসি আরও বলেন, বাড়িতে পুলিশের উপস্থিতি ও তার নামে গ্রেফতারি পরোয়ানার কথা শুনে তার বুকের ব্যথা বেড়ে যায়। অভিযুক্তের বুকে ব্যাথা থাকায় পরিবারের লোকজন পুলিশকে জানায়। আমার নির্দেশনায় অভিযুক্তকে পুলিশের গাড়িতে করে তার বড় ছেলে শরীফসহ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। রামু পৌঁছানোর পর বুকে ব্যথা বেড়ে গেলে তাকে রামু উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। রবিবার রাত সাড়ে তিনটার দিকে সেখানেই মৃত্যু হয় অভিযুক্তের।
এদিকে বাবা লেদু যে পরোয়ানা ভুক্ত একজন আসামি ছিলেন, তা একদমই জানতেনই না বলে সংবাদ মাধ্যমে এমনটাই দাবি করেছেন মৃতের ছেলে মুহাম্মদ শরীফুজ্জামান। জানা গেছে, ময়নাতদন্ত ছাড়াই মৃতদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।