দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন জালিয়াতি ও বিতর্কিত হলে দেশে ব্যাপক সরকারবিরোধী বিক্ষোভ হতে পারে। যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা আরোপ করতে পারে। অন্যান্য পশ্চিমা দেশ থেকেও নিষেধাজ্ঞা আসতে পারে। এ ধরনের পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে ভারত ও চীনের ওপর বাংলাদেশ সরকারের নির্ভরতা বাড়তে পারে বলে মনে করছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ।
ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ হল বেলজিয়ামের ব্রাসেলসে অবস্থিত একটি অলাভজনক সংস্থা। এটি বিশ্বজুড়ে সংঘাত প্রতিরোধ এবং সমাধানের জন্য কাজ করে। এই অক্টোবর থেকে আগামী মার্চ পর্যন্ত সময়ের পূর্বাভাস গত বুধবার কোম্পানির ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বাংলাদেশ অংশের এমন পূর্বাভাস তুলে ধরা হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ নির্বাচনের সময় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ক্ষমতা ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান প্রত্যাখ্যান করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বরং তারা বিএনপিকে দমন করতেই পারে। তখন বিরোধী দলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা রাজপথে নেমে আসতে পারে, হামলা-ভাংচুরের ঘটনা ঘটতে পারে। ইসলামপন্থী দলগুলো সরকারের বিরুদ্ধে আরও সক্রিয় হতে পারে। কারচুপির অভিযোগ এনে বিরোধী দল নির্বাচন বয়কট করতে পারে। তারা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে। নির্বাচন পরবর্তী পরিস্থিতিতে সামরিক বাহিনী হস্তক্ষেপ করতে পারে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, পার্বত্য চট্টগ্রামে অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে। আরাকান আর্মির মতো মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী এই অস্থিতিশীলতায় ইন্ধন জোগাতে পারে। বাংলাদেশ, মিয়ানমার ও ভারতের সীমান্ত এলাকায় সশস্ত্র গ্রুপের তৎপরতা বাড়তে পারে। ফলে সামরিক বাহিনী অভিযান পরিচালনা করতে পারে।
এদিকে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অস্থিতিশীলতা বাড়তে পারে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপের প্রতিবেদনে। এতে বলা হয়েছে, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (এআরএসএ) এবং রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশনের (আরএসএ) মধ্যে সংঘাত বাড়তে পারে। বেসামরিক মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। দাতারা ধীরে ধীরে আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় শিবিরে খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা বাড়তে পারে। এতে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সহিংসতা বাড়তে পারে।