ঠাকুরগাঁওয়ে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে প্রতিক্ষের বিরুদ্ধে ভোট জালিয়াতির অভিযোগ জানিয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা করেন নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সোহেল রানা। কিন্তু দিনশেষে দেখা যায়, ভোট বর্জন করা সেই প্রার্থীই ১৫৫ ভোটে জয় লাভ করেন। আর এ সংবাদ শুনেই রীতিমতো নিজেন বয়ান পরিবর্তন করে সোহেল দাবি করেন, ‘আমি রাগ করে মিডিয়ার সামনে ওসব বলেছি কিন্তু লিখিতভাবে ভোট বর্জন করিনি। তাই আমি জিতেছি।’
ইউপি নির্বাচনের তৃতীয় ধাপে ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নে রোববার এ ঘটনা ঘটে। রবিবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরের পর দুওসুও ইউনিয়নের ৩ নম্বর মহিষমারি কেন্দ্রে এ অভিযোগ আনেন তিনি। আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোহেল রানা ১৫৫ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
দুওসুও ইউনিয়নের ৩ নম্বর মহিষমারি কেন্দ্রে রোববার দুপুরের পর ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়ে সোহেল সাংবাদিকদের বলেন, ‘আনারস মার্কার স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা জোর করে কেন্দ্র দখল করেছেন। ব্যালট পেপার কেড়ে নিয়ে নিজেদের সিল মেরে বাক্সে ঢুকিয়েছেন।‘পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের অনেক সদস্য সরাসরি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছে। কোথাও সুষ্ঠু ভোট হয়নি।’ ফল ঘোষণার পর তিনি বলেন, ‘আমি রাগ করে মিডিয়ার সামনে ওসব বলেছি কিন্তু লিখিতভাবে ভোট বর্জন করিনি। তাই আমি জিতেছি।’ এদিকে ভোট বর্জনকারী সোহেল রানার নৌকা জয়ী হওয়ায় ইউনিয়নের সমর্থকদের মাঝে আনন্দ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
নৌকার সমর্থক জামশেদ বলেন, যতই কারচুপি করুক, ভালো মানুষের বিজয় হবে। সোহেল রানা ভালো মানুষ। তিনি জয়ী হয়েছেন আমরা অনেক খুশি। আশা করছি এলাকার উন্নয়ন হবে। তার প্রতিদ্বন্দ্বী সফিকুল ইসলাম বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী দাবি করেছিলেন ভোট সুষ্ঠু হয়নি। সাংবাদিকদের ভোট বর্জনের সিদ্ধান্ত জানিয়েছেন। তাহলে পরে তাকে বিজয়ী করা হলো কেন।
এদিকে এ ব্যাপারে দুওসুও ইউনিয়নের রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, তাদের কাছে লিখিত কোনো ভোট বর্জনের অভিযোগ আসেনি। আর তাই গণনা শেষে যে বেশি ভোট পেয়েছেন তাকেই জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
তবে এ ঘটনায় গোটা এলাকাজুড়ে বইছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। অনেকেই সোহেল রানার এ বিষয়টি মেনে নিতে পারছেন না বলেও মন্তব্য করেছেন।