আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ঠাকুরগাঁও-১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী রমেশ চন্দ্র সেন বিএনপি সমর্থকরা ভোট দিতে না এলে বিভিন্ন প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের তালিকা থেকে তাদের নাম বাদ দেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও সদরের নারগুন ইউনিয়নের পোকাতি সেন্টার হাটে নির্বাচনী জনসভায় তিনি এ হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।
বৈঠকে রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, বিএনপির যে সমস্ত ভোটার রয়েছে তারা যেন ভোট দিতে যান। যদি ভোট দিতে না যান, আর যদি তারা সুবিধাভোগী হন, তাহলে তালিকা থেকে তাদের নাম কাটা যাবে। আমরা কিন্তু এক কথার লোক। আমি দিয়েছি, আমি কাটব। আর যদি আপনারা যান, সেখানে সব সেন্টার কমিটির ছেলে থাকবে, সভাপতি-সম্পাদক থাকবে, তারা কিন্তু মার্ক করবে। প্রতি জনকে মার্ক করবে। যদি না যান, তাহলে কিন্তু সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সদর উপজেলার প্রতিটি স্কুল পাকা করেছি, প্রতিটি ইউনিয়নে উন্নয়ন হয়েছে। হয়তো কোথাও একটু বেশি আবার কোথাও একটু কম। বর্তমানে ঠাকুরগাঁওয়ে গৃহহীন মানুষ নেই। আমরা প্রধানমন্ত্রীর জন্য এটা করতে পেরেছি। এতে আমরা গর্বিত। প্রতিটি জেলায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। সেভাবেই ঠাকুরগাঁও জেলায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় নির্মাণ করা হবে। ফলে ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দরটি চালু হতে পারে।
রমেশ চন্দ্র সেন বলেন, সবাই ভোট দিতে আসবে। উৎসবমুখর পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হোক। মেয়েরা আগে ভোট দিতে আসবে। ছেলেরা পরে ভোট দিতে আসবে। সবাইকে ভোট দিতে নিয়ে আসুন।আপনাদের কেউ গায়ে হাত দিতে পারবে না। এটা আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি। কেউ কিছু করলে সাথে সাথে প্রতিকার করা হবে। আমাদের প্রতিটি কেন্দ্রে সেনাবা”হিনী ও পুলিশ থাকবে।
আমরা একবার ছেড়ে দিয়েছি, আর ছাড়ব না। বাঙালি বীরের জাতি, বাঙালি ভয় পায় না। আমি মুক্তিযুদ্ধে ছিলাম। এই সময়েই আমার বাবাকে হ”ত্যা করা হয়। আমি ভয় পাই না আমি কোটি কোটি মানুষকে সাহায্য করেছি। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ে থাকাকালীন নিরলসভাবে কাজ করেছি। সেই জায়গায় অন্য কেউ থাকলে কোটি কোটি টাকা অর্জন করতে পারত। কিন্তু আমি এক টাকাও অর্জন করিনি।
উল্লেখ্য, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করবেন বর্তমান সংসদ সদস্য রমেশ চন্দ্র সেন। এর আগে তিনি ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের সংসদ নির্বাচনে এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ছিলেন।