শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ৮টা থেকে পটুয়াখালী পৌর নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। ভোট চলবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত। পৌরসভার বর্তমান মেয়র ও মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার কর্মী-সমর্থকরা নগরীর পুরান বাজার এলাকায় টাকার বিনিময়ে ভোট কিনতে গিয়ে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাত সাড়ে ৮টার দিকে গণধোলাই খেয়েছেন।
সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. জসিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত রয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব, পুলিশসহ সব আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টহল জোরদার করেছে।
জানা যায়, বর্তমান মেয়র ও মেয়র পদপ্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ, যুবলীগ সভাপতি শহিদুল ইসলাম সহিদ, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান হাফিজ ও তাদের সমর্থকরা টাকা দিয়ে ভোট কেনার সময় ভোটারদের হামলার শিকার হন ৩নং ওয়ার্ডের পুরাতন বাজার এলাকায়। শহর ঘটনার সময় মহিউদ্দিন আহমেদ ও তার সমর্থকদের স্থানীয় ভোটাররা ধাওয়া দেয়। উভয় পক্ষের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
পুরান বাজার এলাকার একাধিক ভোটার জানান, বর্তমান মেয়র ও মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিন আহমেদ জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হাফিজুর রহমান, জেলা যুবলীগের সভাপতি শহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে অন্তত শতাধিক লোক পুরাতন বাজার এলাকায় প্রবেশ করে। এ সময় হিন্দু ভোটারদের টাকা দিয়ে জগ প্রতীকে ভোট দেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়। এতে সাধারণ ভোটাররা একমত না হলে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। পরে এলাকাবাসী গিয়ে মহিউদ্দিনের কর্মী সমর্থকদের অনৈতিক প্রস্তাবের বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়র প্রার্থী মহিউদ্দিনের সমর্থকরা স্থানীয়দের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পড়লে পুরাতন বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা জড়ো হয়ে প্রতিরোধ করে। সিসিটিভি ফুটেজে এমন দৃশ্য দেখা গেছে। ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে এবং পরবর্তী সহিংসতা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করে।
এ ঘটনায় দুই মেয়র প্রার্থী ডা. শফিকুল ইসলাম ও মহিউদ্দিন আহমেদ একে অপরকে দোষারোপ করে সংবাদ সম্মেলন করেন।
এবারের নির্বাচনে তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে মেয়র পদে ৫ জন, কাউন্সিলর পদে ৪১ জন এবং কাউন্সিলর পদে ১৫ জনসহ ৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। পৌরসভার মোট ভোটার ৫০ হাজার ৬৯৯ জন।