বাংলাদেশের ইতিহাসে পরপর তিনবার জাতীয় নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রধানমন্ত্রী হন বাংলার শ্রষ্ঠ সন্তান শেখ মুজিবরের সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। জনগনের প্রাণঢালা ভালোবাসা ও গভীর শ্রদ্ধার কারনেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলার ক্ষমতায় এসে সাধারণ মানুষের সব ধরণের দুঃখ-দুর্দশা নিরসনে দক্ষটার সহিত কাজ করে যাচ্ছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও বাংলার মানুষকে অনেক ভালোবাসেন। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী তার এক বক্তব্যে বলেছেন আওয়ামী লীগ সবসময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসে।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্বাচন প্রক্রিয়া স্বচ্ছ ছিল উল্লেখ করে দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগ কখনো কারচুপির মাধ্যমে ক্ষমতায় আসেনি, বরং আওয়ামী লীগ সব সময় জনগণের ভোটে ক্ষমতায় এসেছে। ভোট চুরি ও জাল ভোটার তালিকা দিয়ে নির্বাচন করতে না পারায় নির্বাচন নিয়ে শঙ্কিত বিএনপি।
স্থানীয় সময় শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে নিউইয়র্কে জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী মিশনের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময় দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য লড়াই করেছে। তিনি দলের নেতাদের আশ্বস্ত করে বর্তমান সরকার জনগণের ভোটের অধিকার নিশ্চিত করার ব্যবস্থা নিয়েছে বলে দলটির নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করে তাদের উদ্বিগ্ন না হওয়ার পরামর্শও দেন তিনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, তারা (বিএনপি) সত্যিই একটি স্বচ্ছ নির্বাচন হবে বলে চিন্তিত। কারণ, ভোট কারচুপি ও ভোটার তালিকায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভুয়া ভোটার রাখার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা। অন্যথায় চিন্তার কিছু নেই।’
প্রধানমন্ত্রী প্রশ্ন তোলেন, ‘যারা জনগণের ভোট পেয়ে ক্ষমতায় আসেনি, তাদের নির্বাচন নিয়ে জনগণের প্রশ্নকে এত গুরুত্ব দেওয়ার কী আছে? জনগণ নির্বাচনে অবাধে ভোট দেবে, এমন পরিবেশে ২০০৯, ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
নির্বাচনে বিএনপির অংশগ্রহণ প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ নেয়নি, এটা তাদের দলের সিদ্ধান্ত ছিল। তারা জানে সুষ্ঠু নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তাদের ক্ষমতায় আসার কোনো সুযোগ নেই। তারা প্রাণনাশ, অভ্যুত্থান এবং ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ক্ষমতায় ওঠার জন্য ব্যবহৃত হয়। এটাই বাস্তবতা।
ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ইভিএম একটি আধুনিক পদ্ধতি এবং বিশ্বের অনেক দেশেই এটি ব্যবহৃত হয়। যেখানে ইভিএম ব্যবহার করা হয়, নির্বাচনের ফলাফল দ্রুত পাওয়া যায় এবং মানুষ নির্বিঘ্নে তাদের ভোট দিতে পারে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা সত্য যে এই ইভিএমের বিরুদ্ধে কিছু লোক আছে।
দেশে প্রবাসীদের বিনিয়োগ প্রসঙ্গে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রবাসীরা যাতে দেশে বিনিয়োগ করতে পারে সেজন্য বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। দেশি-বিদেশি বিনিয়োগের জন্য সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠা করছে।
জাতিসংঘের ৭৭তম সাধারণ পরিষদের অধিবেশন থেকে বাংলাদেশের জন্য কি নিয়ে ফিরছেন এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘বন্ধুত্ব। বাংলাদেশের জন্য বন্ধুত্ব নিয়ে ফিরছি এবং বাংলাদেশ যে উন্নয়নের বিস্ময় এটাই বলতে চেষ্টা করে। আর সবচেয়ে বড় কথা হল আমরা শন্তি চাই, যুদ্ধ চাই না। সংঘাত চাই না। এই বার্তাটা অন্তত আমি সকলের কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছি।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগদানকারী সব দেশ ও সরকারপ্রধান বাংলাদেশের প্রশংসা করেছেন।
এদিকে প্রতি বছরের মতো এবারও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নাগরিক সংবর্ধনা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ। নিউইয়র্কের অ্যাস্টোরিয়া ওয়ার্ল্ড ম্যানরে আয়োজিত সংবর্ধনায় কার্যত যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের আরেকটি অংশ কুইন্সের উডসাইডে কুইন্স প্যালেসে আরেকটি সংবর্ধনার আয়োজন করেছে।
প্রসঙ্গত, আওয়ামী লীগ হলো বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার। আওয়ামী লীগ সরাকর গঠন করার পর থেকেই জনগনের সার্বিক মঙ্গল সাধনের জন্য সকল সহযোগিতামূলক কর্মকান্ড বাস্তবায়ন করে যাচ্ছেন ক্রমাগতভাবে। বাংলার জনগন যাতে কোনো ধরণের দুর্ভিগের শিকার না হয় সেইদিকে সদা সতর্ক দৃষ্টি রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আর এই জন্যই বাংলার মানুষ তার কাছে সারাজীবন ঋণী থাকবে এবং তাকে সম্মানের সহিত স্বরণ করবে।