সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী মেয়র মনিরুল হক সাক্কু ও আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয় কুমিল্লা সিটি নির্বাচনে। প্রথমে ভোটের লড়াইয়ে এগিয়ে সাক্কু এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত বিজয়ী হয় আরফানুল হক রিফাত। তবে সাক্কুর দাবি তার বিয়জ কেড়ে নেওয়া হয়েছে। এবার নির্বাচনের ফলাফল বিষয় নিয়ে তিনি আদালতের দ্বারস্ত হবার কথা বললেন
কুমিল্লা সিটি করপোরেশন (কুসিক) নির্বাচনে হেরে আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন দুইবারের মেয়র মনিরুল হক সাক্কু।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আরফানুল হক রিফাতের কাছে ৩৪৩ ভোটে পরাজিত হওয়ার পর সাংবাদিকদের সাক্কু বলেন, “আমার বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। ফলাফল দুই ঘণ্টার জন্য স্থগিত রাখা হয়েছে।”এটা গায়ের জোরে আটকে রাখা হলো। এখন আইনি প্রক্রিয়ায় যাব।
“তিনি আরও বলেন,আমার কাছে ফলাফলের কাগজ আছে। এটা অন্যায়। এর মাধ্যমে প্রমাণ হলো নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষতা দেখাতে পারেনি।
বুধবার রাতে বেসরকারিভাবে ঘোষিত ফলাফলে রিফাত পেয়েছেন ৫০ হাজার ৩১০ ভোট। আর তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কু (টেবিল ঘড়ি প্রতীক) পেয়েছেন ৪৯ হাজার ৯৬৭ ভোট।
বুধবার সকাল ৮টায় ভোটগ্রহণ শুরু হয়ে শেষ হয় বিকেল ৪টায়। উৎসবমুখর পরিবেশে স্থানীয় সরকারের এই ধাপের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। দিনভর ভোট শেষে জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে স্থাপিত কেন্দ্র সংগ্রহ ও বিতরণ কেন্দ্র থেকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এবারের নির্বাচনে মোট কেন্দ্রের সংখ্যা ১০৫, ভোটার ২ লাখ ২৯ হাজার ৯২০ জন।
প্রসঙ্গত, নির্বাচনে তাকে জোর করে হারানো হয়েছে বলে দাবি করেন সাক্কু। তিনি বলেন, নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমি আইনি প্রক্রিয়ায় যাবো।