বর্তমান সময়ে দেশজুড়ে চলমান রয়েছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন এবং সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন। আর এই নির্বাচনকে ঘিরে নানা ধরনের দূর্নীতির খবর উঠে আসছে বিভিন্ন ধরনের সংবাদ মাধ্যমে। ভোট কেন্দ্রে বিভিন্ন দলের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টাসহ সংঘর্ষের খবর শোনা যাচ্ছে। এবার নির্বাচনের আগের দিন রাতে ভোট কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করার জন্য একজন প্রধান এজেন্ট দায়িত্ব পাওয়া প্রিজাইডিং অফিসারের সাথে দেখা করতে যান। জানা গেছে, তিনি নৌকার সমর্থিত এজেন্ট। এই ঘটনায় ঐ এজেন্টকে নির্বাচনী পরিবেশের সুষ্ঠতা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়ে সতর্ক করেছেন রির্টানিং কর্মকর্তা।
রবিবার (২৬ ডিসেম্বর) চতুর্থ ধাপের নির্বাচনের আগের রাতে (শনিবার-২৫ ডিসেম্বর) সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপেজলার রায়দৌলতপুর ইউনিয়নের বাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটে।
ওই ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী মোক্তেল হোসেন (চশমা) অভিযোগ করে বলেন, ‘শনিবার রাতে বাড়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রসহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্রে নৌকার প্রার্থী ও তার প্রধান এজেন্ট প্রিজাইডিং অফিসারদের টাকা দিয়ে অনৈতিক সুবিধা নেওয়ার প্রস্তাব দেন। এলাকাবাসী বিষয়টি বুঝতে পারলে প্রশাসনকে খবর দিলে তারা ভোট কেন্দ্র থেকে সরে যান।’
তবে অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ অস্বীকার করে নৌকার প্রধান এজেন্ট ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম রেজা বলেন, ‘আমি নৌকার প্রধান এজেন্ট হওয়ার কারণে কেন্দ্রে কেন্দ্রে গিয়ে সার্বিক খোঁজ খবর নিয়েছি।’
ওই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং কর্মকর্তা রেজাউল করিম বলেন, ‘নৌকার প্রার্থী আব্দুর রশিদ ও তার প্রধান এজেন্টসহ তিনজন খোঁজ খবর নেওয়ার জন্য কেন্দ্রে এসেছিলেন। তারা কোনো প্রকার অনৈতিক প্রস্তাব দেননি।’
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাজমুন নাহার যিনি রায়দৌলতপুর ইউনিয়ন পরিষদ রির্টানিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি জানিয়েছেন, ভোট কেন্দ্রে আগের রাতে কোনো এজেন্ট বা সাধারন ব্যক্তি প্রিজাইডিং কর্মকর্তার সাথে দেখা করতে পারবে না যেটা সম্পুর্ন নিয়মের বাইরে। কিন্তু সেই নিয়ম ভেঙ্গে সেলিম রেজা নামের এক ব্যক্তি সেই নিয়ম ভেঙ্গেছেন। আমরা জেনেছি তিনি নৌকা প্রতীকের প্রধান এজেন্ট। তাকে এই বিষয়ে মৌখিকভাবে সর্তক করে দেওয়া হয়েছে।