নির্বাচন কমিশন আগামি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে প্রশ্নের সম্মুখীন না হয় সে বিষয়ে নানা ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ইভিএম মেশিনের মাধ্যমে ১৫০ টি আসনে ভোট গ্রহনের কথা জানিয়েছে যেটা নিয়েও নির্বাচন কমিশন প্রশ্নের সম্মুখীন হয়। তাই কমিশন নির্বাচন সুষ্ঠু করতে এবার সকল কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে কিনা জানিয়েছে।
নির্বাচন আয়োজনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালাচ্ছে নির্বাচন কমিশন। আমি মনে করি লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড এখনই প্রস্তুত। নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান বলেছেন, এখন শুধু প্রয়োজন রাজনৈতিক দলগুলোর সদিচ্ছা ও অংশগ্রহণ।
শনিবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জে ছবিসহ ভোটার তালিকা হালনাগাদ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ৩০০ আসনের ভোটকেন্দ্রে ৩’৫ লাখ থেকে ৪ লাখ সিসি ক্যামেরা প্রয়োজন। আমরা সব কেন্দ্রে ক্যামেরা বসাতে চাই। তবে বিষয়টি নিয়ে বর্তমানে আলোচনা চলছে। কারণ, ৩’৫ লাখ থেকে ৪ লাখ ক্যামেরার ফুটেজ দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক একেএম গালিভ খান, রাজশাহীর আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এএইচএম আব্দুর রকিব, সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রওশন আলী, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোতাওয়াক্কিল রহমানসহ নির্বাচন অফিসের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা।
প্রসংগত, বেশ কিছু রাজনৈতিক দল বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে পুতুল কমিশন হিসেবে আখ্যায়িত করেছে। এই কমিশনের অধীনে নির্বাচন সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন হতে পারে না বলে জানিয়েছে। তবে রাজনৈতিক দলগুলোর বিষয়ে তেমন কিছু ভাবছে না কমিশন এমনটি মনে করছেন অনেকে। তারা নিয়ম এবং সংবিধান অনুযায়ী কাজ কর যাবে।