নেতৃত্ব নিয়ে দ্বন্দ্বের কারণে ২০২৩ সালে বিভক্ত হওয়া গণঅধিকার পরিষদ এবার অতীতের সব মতপার্থক্য ভুলে এক হয়ে কাজ করার ঘোষণা দিয়েছে। মঙ্গলবার রাজধানীর আল রাজি কমপ্লেক্সে গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর বলেন, “দেশের বৃহত্তর স্বার্থে সব বিভেদ ভুলে গণঅধিকার পরিষদকে একীভূত করা হয়েছে। যদিও দু-একজন এখনো বাইরে রয়েছে, আমরা আশাবাদী তারা সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের সঙ্গে যুক্ত হবে।”
তিনি আরও বলেন, “৭২-এর সংবিধান বাতিলের প্রয়োজন নেই। বরং আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন সম্ভব। ’৭১-এর স্বাধীনতার প্রেক্ষাপট আর বর্তমান সময় এক নয়। আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকারের দুর্বলতা স্পষ্ট, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি, এবং সচিবালয়ের অগ্নিকাণ্ড আমাদের হতাশ করেছে।”
গণঅধিকার পরিষদের সদস্য সচিব ফারুক হাসান বলেন, “গণঅধিকার পরিষদ তরুণদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় গড়ে ওঠা একটি দল। মাঝখানে মতপার্থক্যের কারণে বিভক্ত হলেও ২০২৪ সালের আন্দোলনে উভয় পক্ষ রাজপথে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। দেশের প্রয়োজন অনুভব করে আমরা আজ এক হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কোটা আন্দোলনই আমাদের ঐক্যের ভিত্তি।”
সংবাদ সম্মেলনে দুই পক্ষের নেতৃবৃন্দ, উচ্চতর পরিষদ ও নির্বাহী কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত: গণঅধিকার পরিষদ ২০১৮ সালের কোটা আন্দোলনের মাধ্যমে গড়ে ওঠে। নুরুল হক নুর ও তার সমমনা ব্যক্তিরা ২০২১ সালে দলটির আনুষ্ঠানিক কার্যক্রম শুরু করেন, যেখানে আহ্বায়ক হিসেবে যোগ দিয়েছিলেন রেজা কিবরিয়া।