বাংলাদেশের দুটি বড় রাজনৈতিক দল আওয়ামীলীগ ও বিএনপি আগামী নির্বাচন নিয়ে দল দুটি বিপরীত অবস্থান নিয়েছেন। আওয়ামীলীগ সংবিধানের বাহিরে নির্বাচন যেতে রাজি নয় অপরদিকে বিএনপি নিরপেক্ষ সরকারের অবস্থান থেকে সরতে নারাজ। বিএনপি আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের দাবি আদায়ের প্রস্তুতি নিয়ে মাঠে নেমেছে।তাদের আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে এবং সরকারে পতনের মাধ্যমে নিরপেক্ষ সরকার গঠন করে নির্বাচন করা হবে বলে বিএনপির পক্ষে থেকে বলা হচ্ছে। বিএনপিকে গর্তে ঢুকানোর ওষুধ আমাদের জানা আছে বলে মন্তব্য করে তথ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে যা বললেন।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আমরা রাজপথে এখনো নামিনি, আগামী মাসে পরিপূর্ণভাবে নামব। রাজপথে নামলে বিএনপি পালানোর জায়গা খুঁজে পাবেনা। বিএনপিকে অবশ্য সারাদেশে খুঁজে পাওয়া যায়না, পাওয়া যায় নয়াপল্টনের অফিস এবং প্রেস ক্লাবের সামনে। বিএনপির সমাবেশে এখন অনেক নেতাকর্মীদের দেখতে পাচ্ছি। তাদের কিভাবে গর্তে ঢুকাতে হয় সেই ওষুধ আমাদের জানা আছে। প্রয়োজনে প্রয়োগ করা হবে।
শনিবার চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিএনপির পেট্রোল বো/মা স/ন্ত্রাসীরা আবারও মাঠে নেমেছে। তাদের বিতাড়িত করে প্রতিহত করতে হবে। আমরা কখনো বিএনপির সমাবেশে বাধা দেইনি, দেবও না। যদি পেট্রোল বো/মা বাহিনীদের দেখি তখন কিন্তু আমরা বসে থাকব না, আমরা প্রতিরোধ গড়ে তুলব।
মন্ত্রী বলেন, পুকুরে বৃষ্টি হলে পুঁটি মাছ অনেক লাফায়, পুঁটি মাছের পাশাপাশি মালা মাছও অনেক লাফায়। এখন বিএনপির লাফালাফি হচ্ছে পুঁটি আর মলা মাছের লাফানির মত।। তেলের দাম বাড়াতে তারা একটু লাফাচ্ছে। রাশিয়া-ইউক্রেন যু/দ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে বিশ্বব্যাপী তেলের দাম দ্বিগুণ হয়েছে। আমরা আমাদের দেশে তেলের দাম দ্বিগুণ করিনি। মোট ৩৮-৪০ শতাংশ উত্থাপিত হয়েছে। আমরা বাড়িয়ে পশ্চিমবাংলার সমান করেছি। বিশ্ববাজারে যদি তেলের দাম কমে তাহলে আবার দাম সমন্বয় করা হবে। তাই বিএনপির এই পুঁটি ও মলা মাছের মত এত লাফালাফির কোন প্রয়োজন নেই।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়দিন আগে বিএনপির নেতৃত্বে সমাবেশ হয়েছিল নয়াপল্টনে। সেখানে তাদের দলের নেতা কাকেরা যেভাবে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী ও আমাদের দলের সাধারণ সম্পাদক সম্পর্কে কথা বললেন, সেই ধরণের কথা বলতে আমাদের রুচিতে বাঁধে। কিন্তু আমি যদি বলি তাদের নেতানেত্রীরা লজ্জায় মুখ দেখাতে পারবেন না। দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে, জিয়াউর রহমান রণাঙ্গনে, আর বেগম খালেদা জিয়া পাকিস্তানিদের ক্যান্টনমেন্টে আরাম আয়েশে থাকেন। ভেতরের বিষয়টা কি ? আমি লজ্জায় এটা বলতে পারবনা।
তিনি আরও বলেন, কাগজে দেখেছি বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিদেশিদের চাপে সরকার কোনো সমাবেশে বাধা দিচ্ছে না। আমাদের নেত্রী কয়েকদিন আগে বলেছেন, আমরা বিএনপির কোনো সমাবেশে বাধা দেব না এবং বাধাও দেইনি। কিন্তু আমরা দেখতে পেলাম তারা নিজেরাই মারামারি করে নিজেদের সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার ও যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে অ্যাডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি আব্দুল মোনাফ সিকদার। আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতী, জহির আহমদ চৌধুরী, মো: শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিস আজগর প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, বিএনপির আন্দোলনের নামে ফাঁকা আওয়াজ দিচ্ছে যা আওয়ামীলীগ ভয় পায় বলে মন্তব্য করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, আওয়ামীলীগ রাজপথ এখনো ছাড়ে নাই যদি পথে নামলে বিএনপিকে খুজে পাওয়া যাবে না।