জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিল করেছে অন্তর্বর্তী সরকার। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতির আদেশে ১৫ আগস্টের এই ছুটি বাতিল করা হবে। এতে টানা তিনদিন ছুটি থেকে বঞ্চিত সরকারি কর্মচারীরা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ১৫ আগস্টের সাধারণ ছুটি বাতিলের প্রজ্ঞাপন তারা তৈরি করেছেন। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশনা পেলে আজ প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।
ক্যালেন্ডার অনুযায়ী ১৫ আগস্ট ছিল বৃহস্পতিবার। পরের দুই দিন (শুক্র ও শনি) সাপ্তাহিক ছুটি। শোক দিবসের ছুটি না পেলে টানা তিন দিনের ছুটি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সরকারি কর্মচারীরা।
অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন বলেন, এদিন কেউ যাতে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা করতে না পারে সেদিকে নজরদারি করা হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ১৫ আগস্ট মাঠে পুলিশ মোতায়েন থাকবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ধানমণ্ডির ৩২ নম্বরের নিজ বাসায় সেনাবাহিনীর কতিপয় বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হন। সেদিন তিনি ছাড়াও নিহত হন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, তার পরিবারের সদস্য ও আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন।
এরপর ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে দিনটি জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পালন করা হয়। যাইহোক, বিএনপি নেতৃত্বাধীন জোট ক্ষমতায় এসে ২০০২ সালে জাতীয় শোক দিবস পালনের সিদ্ধান্ত বাতিল করে। ছয় বছর পর হাইকোর্টের আদেশে ১৫ আগস্টকে ২০০৮ সালে জাতীয় শোক দিবস হিসেবে পুনঃপ্রতিষ্ঠিত করা হয়।