ভূমি থেকে উপরে উঠতে গিয়েই ১২৩ জন যাত্রীসহ খুটির সাথে ধাক্কা খেল বিমান

বিমান হলো দূরপাল্লার যাত্রার জন্য সব থেকে নিরাপদ ও আরামদায়ক বাহন। বিমানে করে মানুষ পাড়ি জমাচ্ছে পৃথিবীর এক দেশ থেকে অন্য দেশে। বিমান উড্ডয়নের সময় ও অবতরণের সময় অনেক সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়। আসলে দূর্ঘটনা সম্পূর্ণ একটা অনিশ্চিত বিষয়। আমরা প্রায় বিমান দুর্ঘটনার খবর শুনতে পাই। সম্প্রতি এমনি একটি দুর্ঘটনার খবর জানা গেল। বোয়িং ৭৩৭-৮০০ নামের একটি প্লেন যাত্রী নিয়ে উড্ডয়নের সময় ধাক্কা লাগে একটি খুঁটির সাথে।

উড্ডয়নের সময় বিমানবন্দরের ( airport ) একটি খুঁটির সঙ্গে ধাক্কা খেলো স্পাইসজেট এয়ারলাইন্সের ( SpiceJet Airlines ) একটি প্লেন। সোমবার ভারতের দিল্লি এয়ারপোর্টে ( Delhi Airport India ) এই দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে এনডিটিভির ( NDTV ) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়। প্লেনের ধাক্কায় খুঁটি একদিকে কাত হয়ে পড়েছে। অপরদিকে প্লেনের পাখাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এতে প্লেনে থাকা কোনো যাত্রীর ক্ষয়ক্ষতি বা হ’/তাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

একটি সূত্র জানিয়েছে, সোমবার (২৮ মার্চ ( March )) সকালে ( morning ) বোয়িং ৭৩৭-৮০০ প্লেনটি প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল থেকে রানওয়ের দিকে যাওয়ার সময়ই খুঁটির সঙ্গে সংঘ/’র্ষের ঘটনা ঘটে। প্লেনটি জ/ম্মু-কা/শ্মীরের উদ্দেশ্যে রওনা করেছিল। কিন্তু উড্ডয়নের আগেই খুঁটির সঙ্গে এর ডান পাশের পাখার ধাক্কা লাগে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর ( ANI ) এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে যে, দুর্ঘটনার পর ওই প্লেনের যাত্রীদের অন্য প্লেনে করে গন্তব্যে পাঠানো হয়। এর আগে ১৩২ জন আরোহী নিয়ে গত সোমবার ( Last Monday ) চীনের ( China ) দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে একটি প্লেন বিধ্ব’/স্ত হয়। ওই প্লেনটিও বোয়িং ৭৩৭-৮০০ মডেলের ছিল। দুর্ঘটনায় ওই প্লেনের সব আরোহী প্রয়াত হয়েছেন।

চীনের ( China ) গুয়াংঝি ( Guangzhou ) অঞ্চলে ইস্টার্ন এয়ারলাইন্সের ওই প্লেনটিতে ১২৩ জন যাত্রী ও নয়জন ক্রু সদস্য ছিলেন। ফ্লাইট এমইউ৫৭৩৫ গুয়াংঝি ( Guangzhou ) শহরের উদ্দেশে কুনমিং ( Kunming ) থেকে যাত্রা করেছিল। অনলাইন ট্র্যাকিং ডাটার তথ্য অনুযায়ী, বোয়িং ৭৩৭-৮০০ প্লেনটি কয়েক মিনিটের মধ্যেই ৭ হাজার ৮৫০ ফুট উচ্চতা থেকে একটি পাহাড়ি এলাকায় বি’/ধ্বস্ত হয়।

উল্লেখ্য, সবাই নিরাপদে তার গন্তব্যস্থলে পৌছাতে চায়। কেউ জানেনা আসন্ন ভবিষ্যতে কি হতে যাচ্ছে। বিমান দুর্ঘটনাটির বিষয়ে কেউই অবগত ছিল না। তবে যাত্রীদের ভাগ্য প্রসন্ন ছিল। এই দূর্ঘটনায় কোনো রকম হ/তাহতের খবর পাওয়া যায়নি। জানা গেছে বিমানটি উদ্ধারের পর সেটি মেরামতের জন্য ইয়ার্ডে নেওয়া হয়েছে এবং তার পরীক্ষা নীরিক্ষা শুরু করেছেন প্রকৌশলীরা।