পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষার মেধাতালিকায় প্রথম হওয়া সত্বেও স্থায়ী ঠিকানা নেই এই ধরনের জটিলতার কারনে চাকরি না পাওয়া মীম আক্তারের ভাগ্য খুলতে চলেছে। মীমের পরিবার ভূমিহীন হওয়ায় এবার তাদের জমি ও ঘর দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে খুলনা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে। আজ (মঙ্গলবার) অর্থাৎ ১৪ ডিসেম্বর দুপুরের দিকে দেশের একটি নামকরা সংবাদ মাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন খুলনার জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্বে থাকা মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার।
“আমরা শুনেছি তার স্থায়ী ঠিকানা নেই, তাই সে চাকরি পাচ্ছে না,” এমনটাই বলেন তিনি। পরবর্তীতে খবর পাওয়ার পর দেখি, তার ঘর বা জমি কোনোটিই নেই। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে আশ্রয়ণ প্রকল্প থেকে তাদের পুনর্বাসনের সুযোগ রয়েছে। আমরা সেই প্রকল্পের আওতায় তাদের ঘর দেব।
এর আগে খুলনা জেলা পুলিশ কনস্টেবল নিয়োগের ফলাফলে মেধাক্রমে প্রথম হন মীম আক্তার। কিন্তু স্থায়ী ঠিকানার জটিলতায় পুলিশ প্রতিবেদন তার বিপক্ষে যায়। তবে খুলনা জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাহবুব হাসান জানিয়েছিলেন, মেডিকেলের সর্বশেষ পরীক্ষায় মীম আনফিট হয়েছিলেন এবং স্থায়ী ঠিকানার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন।
মীমের বাবা রবিউল ইসলাম আরটিভি নিউজকে বলেন, খুলনায় আমরা ৩২ বছর বসবাস করছি। আমার স্থায়ী কোনো ঠিকানা নেই। রোববার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসকের অফিস থেকে ফোন করে কাগজপত্র নিয়ে দেখা করতে বলা হয়েছিলো। পরদিন সকালে ডিসি অফিসে কাগজপত্র নিয়ে যায়। সেখানে কিছু কাগজপত্র দিয়েছি। স্থায়ী বসবাসের জন্য ঘরের ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।
মীমের আবেদনে বলা হয়েছে যে, মীম ও তার পরিবার খুলনার সোনাডাঙ্গা থানার ৩ নম্বর আবাসিক এলাকায় ভাড়া বাসায় বসবাস করেন। তার বাবা খুলনার বয়রা ক্রস রোডের পাশে একটি ছোট দোকান ভাড়া নিয়ে সেখানে লেপ-তোষকের ব্যবসা চালান। যা দিয়ে তাদের কোনো রকম দিন অতিবাহিত হয়। তার মা আছিয়া খাতুন একজন গৃহিণী। মীমের আরো তিনটি বোন রয়েছে।
২০১৯ সালে, মীম শহরের পিডব্লিউডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৪.৮৯ পয়েন্ট পাওয়ার মাধ্যমে এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ন হন। এরপর তিনি খুলনা সরকারি মহিলা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন।