কোনো ধরনের অর্থাৎ কম কিংবা বেশি মাত্রার ভূমিকম্পে রাস্তা কিংবা নদীর বাঁধ যাবে না আর ভেঙে। এমনকি এই সকল রাস্তা কিংবা নদীর বাঁধ নরম মাটিতেও উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প সহ্য করতে পারে। ড. রিপন হোড় ভূমিকম্প প্রতিরোধী মোড়ক বাঁধ উদ্ভাবন করার মাধ্যমে সাড়া ফেলে দিয়েছেন বিভিন্ন আবিষ্কারকের মহলে। তিনি বুয়েটে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষনার কাজ করেছেন। তিনি যে বাঁধটি উদ্ভাবন করেছেন সেটা কেবল ভূমিকম্পের ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করবে না, খরচ এবং কৃষিজমিও বাঁচাবে।
ভূমিকম্প একটি প্রাকৃতিক দুর্যোগ যার কোন সময় বা পূর্বাভাস নেই। তাই যেকোনো সময় ল’ণ্ডভ’ণ্ড হয়ে যেতে পারে সবকিছু।
আর এই ভূমিকম্প থেকে ভবন সুরক্ষায় রয়েছে বিল্ডিং কোডসহ নানান উদ্ভাবনী। কিন্তু প্রযুক্তির খুব একটা খবর মেলে না বাঁধ কিংবা সড়ক রক্ষায়। বিষয়টি আরও খানিকটা কঠিন হয়ে পড়ে, যখন আমাদের মতো নরম মাটির দেশ হয়।
তবে এমন দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত হওয়া যাচ্ছে বোধয় এবার। কারণ, রিপন হোড় নামের বুয়েটের এক গবেষক এ ক্ষেত্রে পেয়েছেন, সফলতা। তার গবেষণা অনুযায়ী, অবকাঠামোর নরম মাটিতে প্রথমে ব্যবহার করতে হবে জিও টেক্সটাইল, এরপর ৪০ থেকে ৬০ অনুপাতে সাধারণ বালু ফেলে আবরণটি মুড়িয়ে দিতে হবে। আর স্তর করতে হবে বাঁধের উচ্চতা অনুযায়ী
জিওটেকনিক্যাল গবেষক ড. রিপন হোড় বলেন, ভূমিকম্পের বিভিন্ন মাত্রা সাইনোসাইডাল ওয়েভ এক্সন দিয়ে পরিমাপ করে দেখার পর এটা আবিষ্কার করা হয়।
এই পদ্ধতি শুধুমাত্র ঐ সকল বিশেষভাবে নির্মিত রাস্তা এবং বাঁধকেই রক্ষা করবে না, খরচ কমিয়ে আনবে এবং এবং রক্ষা করবে কৃষিজমিও। রিপন হোড়ের এই গবেষণা কর্মকান্ডে সার্বিক তত্ত্বাবধান করেন মেহেদী আহমেদ আনসারী যিনি বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি এই গবেষনার বিষয়ে বলেন, নরম মাটিতে এই বিশেষ পদ্ধতি কতটুকু কার্যকর সেটা ইতিমধ্যে পরীক্ষা করা হয়েছে।
গবেষণার এই তত্বটি ইতিমধ্যে বিশ্বের অনেকগুলো নামকরা আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে, প্রকৌশলীরা এই পদ্ধতির বিষয়টি নিয়র ইতিবাচক ফলাফলের আশায়।