বাড্ডার সাতারকুলে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে খতনা করাতে গিয়ে শিশু আয়ানের মৃত্যুর ঘটনায় পাঁচ সদস্যের নতুন কমিটি গঠন করেছেন হাইকোর্ট। কমিটিকে আগামী ৩০ দিনের মধ্যে আয়ানের মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি আতাবুল্লাহর বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
এর আগে, আয়ানের মৃত্যুর বিষয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশকে ‘হাস্যকর’ ও ‘এক ধরনের আইওয়াশ’ বলে মন্তব্য করেছিলেন হাইকোর্ট।
পাঁচ বছর বয়সী অয়নের মৃত্যুর ঘটনায় রাজধানীর ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইসেন্স বাতিল চেয়ে গত ৯ জানুয়ারি একটি রিট দায়ের করা হয়। জড়িত চিকিৎসকদের লাইসেন্সও বাতিলের দাবি জানানো হয়েছে। রিটে আয়ানের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণও দাবি করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী শাহজাহান আকন্দ জনস্বার্থে এই রিট দায়ের করলেও পরে আয়ানের বাবা রিটে পক্ষভুক্ত হন। রিটের পর তিনি বলেন, ‘সুন্নতে খতনার জন্য অতিরিক্ত অ্যানেসথেসিয়া দেওয়ায় তার (আয়ানের) মৃত্যু হয়। এ ঘটনা সবার সন্তানের ক্ষেত্রে হতে পারে। বিষয়টি হৃদয়বিদারক। তাই জনস্বার্থে রিট করেছি।’
৩১ ডিসেম্বর খৎনার জন্য তার বাবা-মা আয়ানকে ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সকাল নয়টার দিকে শিশুটিকে অ্যানেস্থেসিয়া দেওয়া হয়। তবে অভিযোগ করা হয়েছে, ডাক্তার অনুমতি ছাড়াই ‘সম্পূর্ণ অ্যানাস্থেসিয়া’ (সাধারণ) অধীনে আয়ানের খতনা করেছেন। পরে জ্ঞান না আসায় তাকে গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানকার পিআইসিইউতে (পেডিয়াট্রিক ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিট) তাকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল।
৭ জানুয়ারি মধ্যরাতে চিকিৎসক শিশুটিকে মৃত ঘোষণা করেন। গত ৯ জানুয়ারি রাজধানীর এ ঘটনায় আয়ানের বাবা শামীম আহমেদ বাদী হয়ে দুই চিকিৎসক, এক অজ্ঞাতনামা কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং ইউনাইটেড হাসপাতাল ও ইউনাইটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেন। বাড্ডা থানা।