পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে বাংলাদেশ মাথা ঘামায় না।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র একটি গণতান্ত্রিক দেশ, আমরাও তাই।
তিনি বলেন, বিশ্বশক্তি হিসেবে তারা (মার্কিন) অবশ্যই অন্যদের ওপর ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারে। কিন্তু আমরা সেটাকে পাত্তা দিই না। কারণ আমরা জানি কিভাবে গ্রহণযোগ্য পছন্দ করতে হয়।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন যাতে অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয় সেজন্য বাংলাদেশের ওপর চাপ দিচ্ছে ওয়াশিংটন। শুধু তাই নয়, যারা গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টি করবে তাদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
বৃহস্পতিবার, মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর “বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা দেওয়ার জন্য দায়ী বা জড়িত” নির্দিষ্ট ব্যক্তিদের উপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের ঘোষণা দিয়েছে।
সংস্থাটির মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে নিষিদ্ধ ব্যক্তিদের মধ্যে বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এই ব্যক্তিরা, সেইসাথে তাদের পরিবারের সদস্যরাও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য হতে পারে।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর ‘আইনি বাধ্যবাধকতার কারণে’ যাদের ভিসা প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে তাদের নাম প্রকাশ করেনি।
প্রায় চার মাস আগে, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিঙ্কেন বাংলাদেশে ‘অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ’ নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্তকারীদের ভিসা নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে সতর্ক করেছিলেন। সে সময়ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিয়েছিল।
আবদুল মোমেন বলেন, যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে তার দল আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা চিন্তিত নন। কারণ তাদের অধিকাংশই এই উন্নয়নশীল দেশে থাকতে চায়।
তিনি আরও বলেন, আমাদের ভোটাররা চিন্তিত নন। কারণ তারা সম্ভবত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার কথা ভাবছে না।