গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী বাংলাদেশিদের ওপর ভিসা নীতি প্রয়োগ শুরু করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটন ডিসিতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার শুক্রবার সন্ধ্যায় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছেন।
ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন যে যুক্তরাষ্ট্র যাদের লক্ষ্যবস্তু করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য এবং বিরোধী দলের সদস্যরা। ভিসা নীতির অধীনে চিহ্নিত ব্যক্তি এবং তাদের পরিবারের সদস্যরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হতে পারে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, ভিসা নীতির আওতায় যে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে তা আসলে ভিসা নিষেধাজ্ঞা। অর্থাৎ, ভিসা নীতির অধীনে চিহ্নিত ব্যক্তিরা মার্কিন ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বা পূর্বে ভিসা প্রাপ্তির ক্ষেত্রে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
ভিসা নীতিমালার আওতায় কাদের চিহ্নিত করা হয়েছে জানতে চাইলে ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার গতকাল সন্ধ্যায় বলেন, ‘না, আমরা ভিসা বিধি-নিষেধের শিকার হওয়া ব্যক্তিদের নাম প্রকাশ করব না। যুক্তরাষ্ট্রের আইন অনুযায়ী, ভিসার তথ্য-উপাত্তসংক্রান্ত রেকর্ড গোপনীয় বিষয়।
ব্রায়ান শিলার বলেন, ‘ভিসা নীতি ঘোষণার পর থেকে মার্কিন সরকার বাংলাদেশের ঘটনাগুলো খুব কাছ থেকে দেখেছে। তথ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থা, ক্ষমতাসীন দল এবং রাজনৈতিক বিরোধী দলগুলোর সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।
এর আগে, ভিসা নীতি ঘোষণার পরপরই, ঢাকায় মার্কিন দূতাবাস বলেছিল যে, এই নীতির অধীনে যাদের ভিসা প্রত্যাহার বা বাতিল করা হয়েছে তাদের জানানো যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ রীতি।