ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার বিশেষভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় বাধা সৃষ্টিকারী বাংলাদেশিদের মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য এবং রাজনীতিবিদদের উল্লেখ করেছেন।
তবে ব্রায়ান বলেছেন, যারা ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় আসবে তাদের নাম দেশটি প্রকাশ করবে না।
মুখপাত্র ব্রায়ান শিলার শুক্রবার ভিসা বিধিনিষেধ শুরু হবে ঘোষণা করার পর সাংবাদিকদের প্রাথমিক প্রতিক্রিয়ায় এ ঘোষণা দেন।
মুখপাত্র ব্রায়ান বলেছেন, “আমরা এই ভিসা নীতি ঘোষণা করার পর থেকে মার্কিন সরকার উন্নয়নের উপর গভীর নজর রাখছে।” তথ্য-প্রমাণ ভালোভাবে পর্যালোচনা করার পর, আমরা আইন প্রয়োগকারী সংস্থার সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য এবং রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিসা নিষেধাজ্ঞার সাপেক্ষে তাদের নাম প্রকাশ করবে কিনা জানতে চাইলে দূতাবাসের মুখপাত্র বলেন, ভিসা নিষেধাজ্ঞার সাপেক্ষে যুক্তরাষ্ট্র তাদের নাম প্রকাশ করবে না।
আমরাও প্রকাশ করব না। কারণ ভিসার রেকর্ড মার্কিন আইনে গোপনীয়।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর শুক্রবার এক বিবৃতিতে বলেছে যে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ভিসা বিধিনিষেধ আরোপের জন্য তারা ‘ব্যবস্থা’ নেবে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য, ক্ষমতাসীন দলের সদস্য ও বিরোধী দলের সদস্যরা নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়তে যাচ্ছেন। তবে এই ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় যারা পড়তে যাচ্ছেন তাদের নাম উল্লেখ করেনি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।