আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য করতে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
এদিকে, গণতন্ত্র ও নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার জন্য দায়ীদের ওপর আনুষ্ঠানিক ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার শুক্রবার এক বিবৃতিতে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন। তবে যুক্তরাষ্ট্র কোনো ব্যক্তির নাম প্রকাশ করেনি।
কেন ভিসা নিষেধাজ্ঞার নাম প্রকাশ করা হয় না— এ বিষয়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী সেক্রেটারি ডোনাল্ড লু বলেন, ভিসানীতির আওতায় ভিসা নিষেধাজ্ঞা যাদের দেওয়া হবে, তাদের নাম প্রকাশ করা হয় না। কারণ কাউকে ভিসা না দেওয়াসহ যে কোনো ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইন অনুযায়ী গোপনীয় তথ্য।
তিনি আরও বলেন, প্রমাণের পুঙ্খানুপুঙ্খ পর্যালোচনার পর আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দল ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যদের ওপর ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছি।
এই নীতির উদ্দেশ্য হ’ল সহিং”সতা হ্রাস করে এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করে এমন যেকোন কার্যক্রম প্রতিরোধ করে বাংলাদেশের জনগণের গঠনমূলক অংশীদার হওয়া।
এর আগে ২৪ মে বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্র।
ঘোষণা অনুযায়ী, যারা নির্বাচনে কারচুপি, ভীতি প্রদর্শন এবং নাগরিক ও গণমাধ্যমের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মার্কিন ভিসা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হতে পারে।