চীন ও থাইল্যান্ড ভ্রমণ ও পর্যটন খাতে নাগরিকদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করছে। রবিবার দুই দেশ একে অপরের নাগরিকদের জন্য ভিসা-মুক্ত প্রবেশ সুবিধা চালু করতে একটি দ্বিপাক্ষিক চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
ব্যাংককে এক বৈঠকে থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী পার্নপ্রি বাহিদ্ধা-নুকারা এবং চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই দ্বিপাক্ষিক ভিসা-মুক্ত প্রবেশ চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন। এই চুক্তি কার্যকর হবে ১ মার্চ থেকে। এর ফলে চীন ও থাইল্যান্ডের নাগরিকরা ভিসা ছাড়াই একে অপরের দেশে প্রবেশ করতে পারবে।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর ব্যাংককে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই বলেন, এই ভিসামুক্ত যুগ উভয় দেশের জনগণের মধ্যে বিনিময়কে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাবে।
দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডের অর্থনীতি ব্যাপকভাবে পর্যটন শিল্পের উপর নির্ভরশীল। চীন থাইল্যান্ডের পর্যটন শিল্পের প্রধান উৎস। করোনাভাইরাস মহামারীর আগে, খাতটি ছিল থাইল্যান্ডের আয়ের দ্বিতীয় বৃহত্তম উৎস, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। মহামারী শেষ হলেও দেশে চীনা পর্যটকদের প্রত্যাবর্তন খুবই ধীর গতিতে হয়েছে।
ওয়াং ই বলেন, নতুন চুক্তির ফলে থাইল্যান্ডে আসা চীনা পর্যটকদের সংখ্যা অনেক বেড়ে যাবে।
করোনাভাইরাস মহামারীর আগে, 1.1 মিলিয়ন মানুষ 2019 সালে শুধুমাত্র চীন থেকে থাইল্যান্ডে ভ্রমণ করেছিল। কিন্তু গত বছর দেশটিতে চীনা পর্যটকদের সংখ্যা ব্যাপকভাবে হ্রাস পেয়েছে। সে বছর মাত্র 3.5 মিলিয়ন চীনা পর্যটক থাইল্যান্ডে গিয়েছিলেন।
চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বৈঠকে বেইজিং ও ব্যাংকক চীন-থাইল্যান্ড রেলওয়ে নেটওয়ার্ক নির্মাণে গতি আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। একই সঙ্গে আন্তঃজাতিক অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে উভয় দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।
এর আগে, ওয়াং ই গত শুক্র ও শনিবার ব্যাংককে মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন। ওই বৈঠকে তারা দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের পাশাপাশি তাইওয়ান, ইরানের সঙ্গে মার্কিন সংকট নিয়েও আলোচনা করেন।