ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের ( Awami League ) অন্যতম একটি শাখা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ( Chhatra League )। দলের উন্নয়নের পেছনে নানা ভূমিকা পালন করে থাকে এ সংগঠনটি। তবে মাঝে মধ্যেই এই সংগঠনটির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে উঠে আসে নানা অনিয়মের অভিযোগ। আর সেই ধারাবাহিকতায় এবার ছাত্রলীগ ( Chhatra League ) নেত্রী তিলোত্তমা শিকদারসহ ( Tilottama Sikdar ) ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জানা যায়, চুরি, মারধর ও ”হ”ত্যা”চে”ষ্টা”র অভিযোগে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ ( Chhatra League )ের সহ-সভাপতি তিলোত্তমা সিকদারসহ ৩২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বলে জানা গেছে। রোববার ( Sunday ) ঢাকা মহানগর ( Dhaka metropolis ) হাকিম মো. ( Md. ) শান্ত ইসলাম মল্লিকের ( Islam Mallick ) আদালতে মামলাটি করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের ( Dhaka University Chhatra Dal ) আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মানসুরা ( Mansura ) আলম।
মানসুরা আলম বলেন, ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা আমাদের ‘হ”ত্যা”’র” উদ্দেশ্য নিয়ে হামলা করেছে। ভিডিও ফুটেজ ও ছবি দেখে ৩২ জনকে শনাক্ত করে মামলা করেছি। এছাড়া হামলায় অংশ নেওয়া অজ্ঞাতনামা একশ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছি।
এর আগে আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। শুনানি শেষে আদালত মামলার অভিযোগ তদন্ত করে ২৬ জুন শাহবাগ থানার ওসিকে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, পূর্ব ঘোষিত কেন্দ্রীয় কর্মসূচি উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা দোয়েল চত্বর থেকে মিছিল বের করলে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, বিভিন্ন কলেজ ছাত্রলীগ ও বিভিন্ন সংগঠনের সন্ত্রাসীরা। ইউনিটগুলো ছাত্রদলের মিছিলে অতর্কিত হা’ম’লা চালায়। একপর্যায়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশে আশ্রয় নেন। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের ওপর হা’ম’লা চালিয়েছে। হামলায় নেতৃত্ব দেন বালাদেশ ছাত্রলীগের নেতারা। তাদের হামলায় প্রায় ৭০/৮০ নেতাকর্মী আহত হয়।
মামলার আসামি আল আমিন রহ’মান লো’হার র’ড দিয়ে মন’সুরকে ‘মা”থা’য়’ আ’ঘা”ত করে, এ সময়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এরপর আসামি রাশেদ ফেরদৌস হাতে থাকা বাশের লাঠি দিয়ে আকাশকে শেষ করার উ’দ্দেশে ‘মা’র’তে থাকে। অভিযুক্ত নাজিমুদ্দিন ও তিলোত্তমা সিকদার হাতে লো’হা’র রড ও লাঠিসো’টা নিয়ে মানসু’রকে পৃথিবী থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে। মনসুরা নিজেকে বাঁচানোর আপ্রাণ চেষ্টা করে। একপর্যায়ে মানসুরা মাটিতে লুটিয়ে পড়লে আসামি তিলোত্তমা সিকদার ও আসামি খাদিজা আক্তার উর্মি তার গলার স্বর্ণের চেইন ও কানের দুল ছিনিয়ে নেয়।
এদিকে এরই মধ্যে এ ঘটনার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়ি্য়ে পড়তেই শুরু হয় ব্যাপক শোরগোল। এ ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধ কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীরা।