টেনোলজির ব্যবহার দিন দিন উন্যত হচ্ছে। যার ব্যাবহার করে যে কারো সাথে অন্যায় মূল্যক কর্মকান্ড করা সম্ভব। এমনি একটি ঘটনার শিকার হয়েছে বলে দাবি করছেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রনুকুল ইসলাম শ্রাবণ। সম্প্রতি তার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। যে ভিডিও একজন ব্যক্তির চরিত্রকে নষ্ট করে। তবে ছাত্রদলের এই নেতা দাবি করছে ওই ভিডিও তার নয়, এডিট করে বানানো হয়েছে।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সাইফ মাহমুদ জুয়েল দাবি করেন, ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি কাজী রনুকুল ইসলাম শ্রাবণের ভিডিও ‘ডিপফেক এডিট প্রযুক্তি’ ব্যবহার করে তার চরিত্রকে ‘মানহানিকর’ করা হয়েছে। এটি একটি নিকৃষ্ট কার্যকলাপ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে ছাত্রদলের পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।
জুয়েল বলেন, আমি ছাত্রদলের প্রতিটি নেতা-কর্মীকে স্পষ্ট করে বলতে চাই, নির্বিচার ও বিদ্বেষপূর্ণ অপচেষ্টার মাধ্যমে এ ধরনের সভ্যতাকে আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত করা যাবে না। কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ রাজপথের একজন পরীক্ষিত ও প্রতিষ্ঠিত ছাত্রনেতা। তার বিরুদ্ধে আওয়ামী গুজবের কোনো অপচেষ্টা সফল হবে না। আমরা সফল হতে দিব না।
তিনি আরও বলেন, আওয়ামী কুচক্রী মহল ডিপফেক এডিট প্রযুক্তি ব্যবহার করে ছাত্রদলের সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণের মুখের সঙ্গে কারও শরীরে মুখ লাগিয়ে একটি ভিডিও ভাইরাল করছে। যা সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভুয়া এবং প্রতারণা ছাড়া কিছুই নয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর দাসত্বের শর্তে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় ফিরিয়ে আনতে ভারতের আশীর্বাদ পাওয়ার তথ্য ফাঁস হওয়ায় দেশজুড়ে প্রতিক্রিয়া ও জনক্ষোভ বিরাজ করছে। তা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হিসেবে আওয়ামী গুজব চক্রবাজরা ডিপফেক প্রযুক্তি পদ্ধতি ব্যবহার করে ছাত্রদল সভাপতির ছদ্মবেশী করার জঘন্য কাজে লিপ্ত হয়েছে।
সাইফ মাহমুদ জুয়েল বলেন, সাইবার ক্রাইমের অন্যতম উপাদান বিশ্বজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে, এ ধরনের প্রযুক্তির অপব্যবহারের মাধ্যমে যে কারো চরিত্র নষ্ট করা সম্ভব।
তবে কে বা কারা তার সাথে এমন কর্মকান্ড করেছে তার কোন তথ্য প্রকাশ করতে পারেনি সে। তার সাথে ঘটে যাওয়া ঘটনার জন্য মানহানির মামলা ও করেনি। অন্যদিকে এই ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগের কারসাজি বলে দাবি করছেন তিনি।