দীর্ঘদিন যাবৎ চলছিল ভিকি এবং ক্যাটরিনার বিয়ে নিয়ে তোলপাড়। তাদের বিয়ের রেশ কাটতে না কাটতেই আলোচনার শীর্ষে এখন রনবির আলিয়া জুটি। তাদের বিয়ে নিয়ে এখন শুরু হয়ে গেছে তুমুল তোলপাড়। কোথায় বিয়ে করবেন, কিভাবে তাদের বিয়ের অনুষ্ঠান হবে, সে ব্যাপারে কথা বললেন রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাট।
মুম্বাইয়ের সংবাদমাধ্যমের খবর, ২০২২ সালের ডিসেম্বর কিংবা ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে সাত পাকে বাঁধা পড়ছেন ‘রালিয়া’। তবে ক্যাটরিনা, দীপিকা, প্রিয়াঙ্কাদের মতো মুম্বাই ছেড়ে অন্য কোথাও গিয়ে যে বিয়ে করবেন না তারা তা স্পষ্ট করেছেন। জানা গেছে শুধু দূরে বিয়েই নয়, প্রচুর খরচ করে বিলাসবহুল বিয়ে করতে রাজি নন আলিয়া ও রণবীর। বরং সাদামাটা ঘরোয়া পরিবেশে বিয়েই তাদের পছন্দ।
তাদের বিয়েতে যে পরিবারই গুরুত্ব পাবে, তাও জানিয়েছেন তারা। আলিয়ার বয়স্ক বাবা মহেশ ভাট ও রণবীরের কাকার পক্ষে অন্যত্র গিয়ে বিয়েতে হাজির হওয়া সম্ভব নয় বলেই আলিয়া-রণবীর নাকি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুম্বাইয়ের সাত তারা হোটেলেই তাদের বিয়ে হবে।
২০১৮ সাল থেকে রণবীর কাপুর ও আলিয়া ভাটের সম্পর্ক। প্রেম নিয়ে প্রথম দিকে লুকোছাপা থাকলেও রণবীর এক সাক্ষাৎকারে স্বীকার করেছেন তার সঙ্গে আলিয়ার গভীর সম্পর্ক নিয়ে। দীপাবলিতে দুজনকে একসঙ্গে সেজেগুজে ছবি দিতেও দেখা গিয়েছে।
বিয়ের ভিডিও ও ছবির স্বত্ব প্রায় ১০০ কোটি টাকায় বিক্রি করেছেন ভিক্যাট, ‘বিবাহিত’ তকমার সঙ্গে সঙ্গেই আকাশ ছুঁয়েছে জুটির বাজারদর। ঠিক যেমনটা হয়েছিল প্রিয়ঙ্কা চোপড়া-নিক জোনাস, দীপিকা পাড়ুকোন-রণবীর সিংহ, অনুশকা শর্মা-বিরাট কোহলীদের ক্ষেত্রে। নিন্দুকেরা বলছেন, শুধু বিয়েতে বাণিজ্য নয়, ইদানিং জীবনসঙ্গী বাছাইয়েও রীতিমতো হিসেব কষছেন তারকারা। বিয়ের এ বাণিজ্যিকীকরণ থেকে নিজেদের হয়ত দূরে রাখতে চাইছেন রণবীর-আলিয়া।
রণবীর কাপুর এবং আলিয়া ভাটের বিয়েটা হবে সাদামাটা। অনেক টাকা পয়সা খরচ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনার সম্মুখীন না হয়ে সাদামাঠাভাবেই ঘরোয়া সংস্কৃতিকে ধরে বিয়ে করতে যাচ্ছেন এই জুটি। সেটা আসলেই প্রশংসনীয়। তবে একের পর এক বিয়ের খবর যেন বলিপাড়া কে বিয়ের পাড়ায় রূপান্তরিত করেছে। আর যতই সাদামাটা বিয়ে হোক তারকা’র বিয়ে বলে কথা মানুষের কৌতূহল তো থাকবেই।