জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদে ডাকা ধর্মঘটের ৩য় দিনে পরিবহন মালিক-শ্রমিকরা তাদের লোকসান পোষাতে নতুন ভাড়া নির্ধারনের দাবি তুলেছে এবং সেই অনুযায়ী নতুন ভাড়া নির্ধারণ করার জন্য বৈঠক শুরু হয়েছে। আজ (রবিবার) অর্থাৎ ৭ নভেম্বর সকাল ১১টা ৩০ মিনিটের দিকে মহাখালীর বিআরটিএ’র বিল্ডিংয়ে এই বৈঠক শুরু হয়।
ঐ বৈঠকের একটি কার্যপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দূরপাল্লার বাসের জন্য প্রতি কিলোমিটারে ১.৮২ টাকা করা যেতে পারে। আর মেট্রোপলিটন এলাকায় সেটা বাড়িয়ে করা যেতে পারে ২.১০ টাকা। বর্তমানে বাস ভাড়ার সাথে ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধির হার (২৩.০৮ শতাংশ) সমন্বয় করার মাধ্যমে বাস ভাড়া পুনর্নির্ধারণের বিষয়টি আলোচনায় আসতে পারে।
সবশেষ ২০১৫ সালে নগর পরিবহনে বাসের ভাড়া প্রতি কিলেমিটারে ১ টাকা ৭০ পয়সা এবং মিনিবাসের জন্য ১ টাকা ৬০ পয়সা নির্ধারণ করে দেয় সরকার। বাসে ৭ টাকা এবং মিনিবাসে সর্বনিম্ন ভাড়া ৫ নির্ধারণ করা হয়। আর ২০১৬ সালে দূরপাল্লায় ডিজেলচালিত বাস ও মিনিবাসের ভাড়া নির্ধারণ করা হয় ১ টাকা ৪২ পয়সা।
জানা গেছে, নতুন ভাড়া নির্ধারণের সভায় সভাপতিত্ব করছেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। এ ছাড়াও আরো উপস্থিত আছেন- বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ। বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান রমেশ চন্দ্র ঘোষ। বিআরটিএর পরিচালক (এনফোর্সমেন্ট) মো. সরওয়ার আলমসহ ক্যাবের প্রতিনিধিসহ আরো অনেকেই উপস্থিত আছেন।
পরিবহন মালিকদের প্রতিনিধিরা যারা এই বৈঠকে অংশ নিয়েছেন তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায় পরিবহন খরচও বেড়ে গেছে। নতুন করে যদি ভাড়া নির্ধারণ না করা হয় তাহলে মালিকরা নানা সমস্যায় পড়বেন। বৈঠকে তারা ভাড়া পুনর্নির্ধারণের দাবি জানাবেন।
এদিকে ধর্মঘট শুরু পর থেকে সড়কে কোনো ধরনের প্রাইভেট বাসও চলছে না। তবে সিএনজি চালিত অটোরিকশা, রিকশা ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে, কারন সেগুলো তেলে চলে না। সেটাও প্রয়োজনের তুলনায় খুব কম পরিমানে চলতে দেখা যাচ্ছে। রাজধানীর বেশ কয়েকটি সড়কে বিআরটিসির কয়েকটি বাস চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। প্রাইভেট বাস না চলার কারনে রিকশা, সিএনজি, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল দৌরাত্ব দেখা যাচ্ছে সড়কগুলোতে।