সম্প্রতি একটি হাস্যকর ঘটনা ঘটেছে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর সাথে। একজন ব্যক্তি বক্তব্যের মাঝখানে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীকে থামিয়ে দিয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘বিরিয়ানি কবে দেওয়া হবে?’আর এই ঘটনায় এখন হাসির রোল ছড়িয়ে পড়েছে সবখানে।
বক্তৃতা শুনতে আগ্রহী নয়, খাওয়ার প্রতি এমন একজন শ্রোতা একটি হাই প্রোফাইল বৈঠকে এটি পরিষ্কার জানিয়েছেন। তিনি তার বক্তব্যের মাঝেই প্রধানমন্ত্রীকে থামিয়ে দেন। প্রশ্ন করেন, কবে দেওয়া হবে?বৈঠকের ফাঁকে সে দেশের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফকে এমন প্রশ্ন করে অস্বস্তিকর পরিস্থিতিতে পড়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
ঘটনার ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে ইন্টারনেটে। জানা গেছে, সম্প্রতি খাইবার পাখতুনখোয়ায় একটি সমাবেশে যোগ দিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। সেখানে একটি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করতে গিয়েছিলেন তিনি।
খাইবার পাখতুনখাওয়ার গভর্নর হাজি গুলাম আলী, পরিকল্পনামন্ত্রী আহসান ইকবাল, তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী মরিয়ম আওরঙ্গজেবসহ আরও অনেক নেতা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে পাকিস্তানের ওই এলাকার উন্নয়ন কীভাবে করা যায়, তা নিয়ে আলোচনা চলছিল।
বক্তব্য রাখছিলেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু তার বক্তব্যে এক অপ্রীতিকর পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ভিডিওতে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি দর্শকের আসন থেকে উঠে প্রধানমন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেন কখন বিরিয়ানি পরিবেশন করা হবে। হঠাৎ প্রশ্নে সকলে হয়ে যান অবাক। এতে বেশ অবাক হয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেও।
তবে দ্রুতই নিজেকে সামলে নিয়ে তিনি উত্তর দেন, খুব তাড়াতাড়ি দেওয়া হবে, চিন্তার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রীও ওই ব্যক্তিকে আবার বসে পড়তে বলেন। অনেকেই লেকচার শুনতে পছন্দ করেন না। কিন্তু সেই ব্যক্তিকে দেশের প্রধানমন্ত্রীর ভাষণে বাধা দিতে দেখে হতবাক নেটিজেনরা।
রাজনৈতিক নেতা-মন্ত্রীরা যত প্রতিশ্রুতিই দেন না কেন, বাস্তবে অনেক কিছুই পূরণ হয় না- এমন অভিযোগ বারবার। ওই ব্যক্তি কি প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য শুনতে অনীহা প্রকাশ করেছিলেন? এমন অনেক প্রশ্ন উঠে এসেছে নেট দুনিয়ায়, কিন্তু উত্তর মেলেনি কিছুই।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যে ইমরান খানকে সরিয়ে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হন শাহবাজ শরীফ। আর সেই থেকেই তিনি দেশের দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।