কঙ্গনা রানাউত বলিউডের জনপ্রিয় একটি নাম। দীর্ঘ দিন ধরেই তিনি রয়েছেন বলিউডের অন্যতম সেরা অভিনেত্রী হিসেবে। কাজ করেছেন একাধিক হিট সিনেমাতে। তবে বি-টাউনে তার শত্রুর অভাব নেই! এমনটাই মনে করেন কঙ্গনা রানাউত। যে কারণে কঙ্গনাকে মাঝে মাঝে বলিপাড়ার এক বা অন্য তারকাকে আঘাত করতে দেখা যায়। রবিবারের পর সোমবার সকালে অনেক লম্বা ইনস্টাগ্রাম স্টোরি পোস্ট করেছেন বলিউডের ‘কুইন’।
এ বার কঙ্গনার অভিযোগ কী? কে তার টার্গেট? এবার কঙ্গনা রানাউতের অভিযোগ খুবই গুরুতর। ‘কুইন’ রবিবার ইনস্টাস্টরিতে দাবি করেছিল যে তাকে গুপ্তচরবৃত্তি করা হচ্ছে। সোমবার কঙ্গনা আবার লিখেছেন, ‘রবিবার আমি নজরদারি নিয়ে অভিযোগ করার পর আজ দেখছি কেউ আর আমাকে অনুসরণ করছে না।’
কঙ্গনা পাল্টা জবাব দেন, ‘আপনি কখনই গ্রামীণতার মুখোমুখি হননি। ভালো হয়ে যাও, নইলে ঘরে ঢুকে তোমাকে মেরে ফেলব। মানুষ আমাকে পাগল বলে, কিন্তু তারা জানে না আমি কতটা পাগল।
রবিবার কঙ্গনা অভিযোগ করেন, তিনি যেখানেই যান, ক্যামেরা লাগিয়ে দেওয়া হয়। শুধু রাস্তা নয়, ভবন, পার্ক, ছাদও নজরদারি করা হচ্ছে। ক্যামেরায় রয়েছে আলাদা জুম লেন্স।
তার কথায়, সবাই জানে পাপারাজ্জিদের টাকা দিলে তারা তারকাদের তাড়া করে, কিন্তু আমি বা আমার দল কেউই তাদের টাকা দিচ্ছি না, তাহলে ক্যামেরা তাড়াতে তাদের কে টাকা দিচ্ছে? সকাল সাড়ে ছয়টায় উঠে তারা আমাকে অনুসরণ করছে, আমি কখন, কখন, কোথায় যাচ্ছি, সময়সূচী পাচ্ছি বা কিভাবে?
কঙ্গনা বলেন, ‘ওরা আমার ছবি তুলে ওই ছবি দিয়ে কী করবে? আমি রবিবার সকালে আমার কোরিওগ্রাফি ক্লাস শেষ করেছিলাম এবং কাউকে স্টুডিওতে আসতে বলা হয়নি, তবুও পাপারাজ্জিরা রবিবার ভোরে এসেছিলেন।’
কঙ্গনার অভিযোগ ছিল, ‘আমি নিশ্চিত যে কেউ বা কেউ আমার হোয়াটসঅ্যাপ ডেটা ফাঁস করছে, যার কারণে কেউ আমার ব্যক্তিগত জীবনের সমস্ত বিবরণ জানছে।’ এখানেই শেষ নয়, কারও নাম না নিয়ে আরও বড় অভিযোগ করলেন কঙ্গনা।
কঙ্গনা লিখেছেন, ‘একবার নেপো মাফিয়া ক্লাউন অপ্রত্যাশিতভাবে আমার বাড়িতে এসে নিজেকে জোর করে আমার ওপর চাপিয়ে দিল। যিনি বলিউডের গার্ল ক্যাসানোভা নামে পরিচিত। এখন তিনি ন্যাপো মাফিয়া ব্রিগেডের ভাইস প্রেসিডেন্ট।
কুইন আরও লিখেছেন, ‘তার স্ত্রীকেও প্রযোজনা করতে বাধ্য করেছেন। নারীকেন্দ্রিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করে আমার মতো হওয়ার চেষ্টা করছেন। আমার মতো বাড়ির অন্দরমহল সাজান, আমার হেয়ার স্টাইলিস্ট, হোম স্টাইলিস্ট নিয়োগ করুন। তারা এখন আমার সঙ্গে কাজ করতে চায় না।’
কঙ্গনা আরও দাবি করেছেন, ‘আমার সম্পর্কে তার স্বামীর পাগলামিকে সমর্থন করছেন স্ত্রীই। আমার ভাইয়ের বিয়েতে যে শাড়ি পরেছিলাম, সে আবার নিজের বিয়েতে সেই শাড়ি পরেছিল। আমার কাছের মানুষদের ঝগড়া করা। তারা আমাকে বিচ্ছিন্ন করার চেষ্টা করছে।
কঙ্গনা খোঁচা দিয়ে বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকা, একই বিল্ডিংয়ের আলাদা তলায় থাকা খারাপ। সবচেয়ে খারাপ হল ক্যাসানোভার স্ত্রীর জন্য। স্বামীর বদনাম নবজাতকের উপর খারাপ প্রভাব ফেললে স্ত্রী চুপ থাকে। কিন্তু তার স্বামীর প্রতি নজর রাখা উচিত।’
কঙ্গনা আরও লিখেছেন, ‘তার স্বামী আমার সমস্ত তথ্য দিয়ে কী করতে চান? স্ত্রীকে জিজ্ঞাসা করা উচিত যে তার স্বামী কোন অবৈধ কাজ করছেন না? তবে সদ্য জন্ম নেওয়া সন্তানের প্রতি অনেক ভালোবাসা থাকে।
কঙ্গনা তার টার্গেটে কারও নাম না করলেও নেটপাড়ার বাসিন্দারা ‘কুইন’-এর ইঙ্গিত দেখেই বুঝেছেন, কঙ্গনা রণবীর কাপুরকে ক্যাসানোভা এবং আলিয়া ভাটকে তাঁর স্ত্রী বলে উল্লেখ করেছেন। আর তাদের সদ্যোজাত সন্তানের নাম ‘রাহা’ কাপুর।
প্রসঙ্গত, এ দিকে গেলো বেশ কয়েক বছর সিনেমার ভাগ্য ভালো যাচ্ছে না কঙ্গনার। একের পর এক সিনেমা মুখ থুবড়ে পরে যাচ্ছে বাক্স অফিস এ। তারপরেও তিনি সর্বসময় থাকেন আলোচনায় তার এই সব বিতর্কিত কিছু কর্মকান্ডের জন্য।