একজন স্ত্রীর জীবনে স্বামী সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানুষ। তবে সেই স্বামী যদি অন্যায়ভাবে স্ত্রীর উপর নি’/’র্যাত”ন শুরু করে, তাহলে সেই স্বামীর প্রতি স্ত্রীর গুরুত্ব কমে যাবে এটাই স্বাভাবিক। এবার স্বামীর কাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে স্বামীকে পুলিশে ধরিয়ে দিলেন তারই স্ত্রী। জানা গেছে, ওই দম্পতির দুটি সন্তান রয়েছে, কিন্তু স্বামীর কারনে শেষ পর্যন্ত পুলিশের নিকট হস্তান্তর করতে বাধ্য হলেন স্ত্রী।
রাজশাহীর বাঘায় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে স্বামীকে পুলিশের নিকট ধরিয়ে দিলেন স্ত্রী। রোববার সকালে নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবন করা আব্দুল মমিনকে আদালতের মাধ্যমে জেলহা”জতে প্রেরণ করা হয়েছে। শনিবার দুপুরে খয়েরহাট গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফ’তার করা হয়। জানা গেছে, স্বামীকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তিনি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার খয়েরহাট গ্রামের আব্দুল মমিন একজন নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবী। বেশির ভাগ সময়ই তিনি স্ত্রীকে নির্যা/”তন ও অকথ্য ভাষায় গা”লাগা/ল করে। তার এই ধরনের নিপী”ড়নের কারনে নাখোশ তার পরিবার ও স্ত্রী। কোন উপায় খুঁজে না পেয়ে, তার স্ত্রী জরুরী সেবা নম্বর ৯৯৯ ফোন করে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে বাঘা থানা পুলিশ তাকে গ্রে”ফতার করেছে।
আব্দুল মমিনের স্ত্রী বলেন, আমার দুই সন্তান রয়েছে। সন্তানদের সামনে মা’/’তালগ্রস্ত হয়ে আমার স্বামী আমাকে প্রতিনিয়ত মা”রধ/র করে এবং গা”লাগা”লি করে। শনিবার মা’/রধ”রের কারণে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমার বাবার পরিবারের লোকজন পু”লিশের সহায়তায় তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এ ব্যাপারে বাঘা থানার ওসি (তদন্ত) আব্দুল করিম জানান, ৯৯৯ নম্বরে ফোনের মাধ্যমে করা অভিযোগের প্রেক্ষিতে আব্দুল মমিন নামে এক নিষিদ্ধ দ্রব্য সেবীকে আটক করে আদালতের মাধ্যমে জে”লহাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, আব্দুল মমিন প্রায়ই তার স্ত্রীর সাথে দুর্ব্যবহার করতো এবং কারনে অকরনে তাকে মা”রধর করতো। যার কারণে স্ত্রীর জীবন অনেকটা অশান্তিপূর্ন হয়ে উঠেছিল। তিনি আর সহ্য করতে না পেরে ৯৯৯ ফোন দেয়ার পর পুলিশ হাজির হলে তাদের হাতে স্বামীকে হস্তান্তর করেন। এই খবর ছড়িয়ে পড়ার পর এলাকায় আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।