পরকীয়া প্রেমের কারণে এই পর্যন্ত অনেক দাম্পত্য জীবনে ইতি হয়েছে। পারিবারিক কলহ থেকে শুরু করে প্রণাশের ঘটনাও ঘটেছে এই পরকীয়া বা বহির্ভূত সম্পর্কের জন্য। সম্প্রতি এমনি একটি পরকীয়ার ঘটনা যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আলোচনায় আসে। তবে এই ঘটনাটি অন্য সকল ঘটনার থেকে ভিন্ন।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, ব্রিটিশ সুন্দরী লর্না গার্নেটের (২৮) পরিবার ভালোই চলছিল। ২২ বছর বয়সী ইউক্রেনীয় সুন্দরী সোফি কারকাদিমকে মানবিক কারণে বাড়িতে আশ্রয় দেওয়া হয়েছিল। আর তাতেই পরাজিত হন লর্নার।
এক সংবাদ মাধ্যমের মতে, ইউক্রেনীয় আশ্রয়প্রার্থীকে বাড়িতে রাখার মাত্র ১০ দিন পরে ১০ বছর বয়সী পরিবার ভেঙে যায়। ইউক্রেনীয় শরণার্থী সুন্দরী তার স্বামী টনি (২৯) গার্নেটের সাথে পালিয়ে গেছেন।
রাশিয়া-ইউক্রন ইস্যুতে দিশেহারা হয়ে হাজার হাজার ইউক্রেনীয় ব্রিটেনে প্রবেশ করে। প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ব্রিটিশ সরকারকে উদ্বাস্তু চাপের জোয়ার থামাতে তাদের নিজস্ব উদ্যোগে ইউক্রেনীয়দের আশ্রয় দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। ১২ মার্চের ঘোষণায় বলা হয়েছে যে যারা কমপক্ষে ছয় মাসের জন্য ইউক্রেনীয় বাড়ি নিয়ে যাবে তারা সরকারের কাছ থেকে 350 পাউন্ড অনুদান পাবে। ঘোষণার পর মে মাসের প্রথম সপ্তাহে ওয়েস্ট ইয়র্কশায়ারে সোফিকে তার বাড়িতে আশ্রয় দেন লর্না। যোগাযোগ মাদ্যমের একটি গ্রুপে একটি পোস্ট দেখে সোফির আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি।
সেই গ্রুপে যোগ দেওয়া আমার জন্য একটি দুঃস্বপ্ন ছিল, লর্না বলেছিলেন। আমার দাদা ৭০ বছর আগে রাশিয়া থেকে পালিয়ে ব্রিটেনে বসতি স্থাপন করেছিলেন। অন্য কারও সাহায্য ছাড়া তিনি এখানে থাকতে পারতেন না। সেই দৃষ্টিকোণ থেকে, আমি শরণার্থী মেয়েটিকে বাড়িতে নিয়ে এসেছি।
ইউক্রেনের লভিভ শহর থেকে পালিয়ে আসা সোফির সাথে তার স//হবাস নিয়ে টনির সাথে লর্নারের বেশ কিছু ঝগড়া হয়েছিল। তর্কের এক পর্যায়ে টনি ও সোফি হঠাৎ বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
আইটি বিশেষজ্ঞ লরনার স্বামী একজন নিরাপত্তা প্রহরী। এবং কয়েক দিন পরে, তারা এবং তাদের পরিবার বার্লিনে চলে যাওয়ার অপেক্ষায় ছিল। অবিবাহিত লর্না-টনি দম্পতির ছয় এবং চার বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে।
উল্লেখ্য, রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যু শুরু হওয়ার পর থেকে অনেক ইউক্রেনীয় বেসামরিক নাগরিক গৃহত্যাগ করেছেন। ঘরবাড়ি আত্মীয় স্বজন ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে পাড়ি জমিয়েছে ভিন্ন ভিন্ন দেশে। ওই সকল দেশ গুলোতে কেউ কেউ সরকারের সহায়তায় রয়েছে, আবার অনেকে সাধারণ মানুষের কাছে।