প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে মানুষ অনেক কিছুর করে থাকে। জাতি, ধর্ম কোন কিছুই তাকে হার মানতে পারে না। জীবনের মায়া ত্যাগ করে ভালবাসার মানুকে পেতে চায়। এবার ভালাবাসার মানুষকে পেতে নদী সাঁতরে ভারতে ( India ) গিলেন এক বাংলাদেশের ( Bangladesh ) তরুণী।
প্রেমের টানে দুঃসাহসিক অভিযান! সুন্দরবনের ( Sundarbans ) জঙ্গল পেরিয়ে উত্তাল নদীতে সাঁতার কেটে ভারতে ( India ) পৌঁছেছেন বাংলাদেশি প্রেমিক। তবে তার পরিণতি হলো করুণ।আপাতত ঠাঁই হয়েছে জেলহাজতে।
আইনি অনুমতি ছাড়া এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করা আন্তর্জাতিক আইনে অবৈধ বলে বিবেচিত হয়। কিন্তু সেটা মাথায় রাখেননি সাতক্ষীরার বাসিন্দা কৃষ্ণ মণ্ডল। সামাজিক যোগাযেগর মাধ্যমে সৌজন্যে কৃষ্ণার সঙ্গে আলাপ হয় পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলার নরেন্দ্রপুর থানা এলাকার রানিয়ার বাসিন্দা অভীক মন্ডলের। সেই কথোপকথন প্রেমে পরিণত হতে বেশি সময় লাগেনি।
অল্প সময়ের মধ্যে একে অপরের প্রেমে পড়ে যান তারা। এরপর বাংলাদেশের তরুণী কৃষ্ণা সিদ্ধান্ত নেন তিনি অভীককে বিয়ে করবেন। কিন্তু পাসপোর্ট নেই, ভিসা নেই। তারপর চারদিন আগে সুন্দরবনের ভয়ংকর জঙ্গল প্রবল নদী পেরিয়ে বাংলাদেশ থেকে ভারতে আসার পরিকল্পনা করেন কৃষ্ণ। একলাই জঙ্গল পেরিয়ে, নদী সাঁতরে ভারতীয় ভূখণ্ডে ঢুকে পড়েন সাতক্ষীরার বাসিন্দা। এরপর কালীঘাটে গিয়ে অভীক ও কৃষ্ণাকে বিয়ে করেন।
বেআইনি প্রবেশের খবর স্থানীয় নরেন্দ্রপুর পুলিশের কাছে পৌঁছতে সময় লাগেনি। কৃষ্ণ মন্ডলকে শ্বশুর বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়। মঙ্গলবার (৩১ মে) তাকে বারুইপুর মহকুমা আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় এবং ১৪ দিনের জন্য বিচার বিভাগীয় হেফাজতে নেওয়া হয়। এদিকে স্ত্রীকে আটকের পর গ্রেফতারের ভয়ে পালিয়ে গেছে কৃষ্ণার স্বামী অভীক। এদিকে পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ খোলেননি কৃষ্ণার শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
প্রসঙ্গত, ভালবাসার টানে সব বাধা অতিক্রম করে শেষ পর্যন্ত প্রেমিক বিয়ে করেন ওই তরুণী। কিন্তু অবৈধ্যভাবে ভারতে প্রবেশ করার দায়ে তিনি আটক হন। তবে এ বিষয়ে এখনো কোন তথ্য দেয়নি তার স্বামীর পরিবার।