বাংলা রুপালী জগতের ব্যাপক জনপ্রিয় ও স্বনামধন্য অভিনেত্রী জয়া আহসান। যিনি কলকাতা সিনেমায় অভিনয় করেও কোটি কোটি ভক্তের মনে জায়গা করে নিয়েছেন তিনি। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি মাঝে মধ্যেই ব্যক্তিগত নানা কারন নিয়ে আালোচনার কেন্দ্রবিন্দু দেখা যায় তাকে। আর সেই ধারবাহিকতায় এলেন বিয়ে ভাঙার কারন নিয়ে।
জয়ার প্রথম স্বামীর নাম ফয়সাল মাসুদ। ভালোবেসে ফয়সালকে বিয়ে করেন জয়া। বাংলাদেশের জমিদার পরিবারের ছেলে ফয়সাল ছিলেন ধনী। ফয়সাল ১৯৯৭ সালে জয়ার সঙ্গে দেখা করেন। সেই প্রথম সফরের কথা এক সাক্ষাৎকারে বলেন ফয়সাল। একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে জয়ার সঙ্গে ফয়সালের প্রথম দেখা। শুরু হয়েছিল তিক্ততা দিয়ে। ফয়সাল সময়মতো আসতে পারেননি, মেকআপ করে ঘণ্টাখানেক অপেক্ষা করতে হয়েছে জয়াকে। জয়া রাগ করে কথা থামালো না। এই রাগ আবার স্নেহে পরিণত হতে সময় লাগেনি। ফোনে কথা বলার সাথে সাথে তারা একে অপরের ঘনিষ্ঠ হয়ে ওঠে। প্রেমে পড়ে ফয়সালকে বিয়ে করেন জয়া।
কেন তাদের ১৩ বছরের বিবাহ স্থায়ী হয়নি তা এখনও একটি রহস্য। জমিদার গৃহবধূরা জীবিকা নির্বাহের জন্য কতটা পরস্পরের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন? দুজনের কাছের মানুষ সব জানে। এত কিছুর পর কেন তাদের সাজানো সংসার ভেঙে গেল? ফয়সালের মধ্যে অন্তর্নিহিত ক্লু পাওয়া যায়। ঠিক কী কারণে সংসার ভাঙল, এত দিন পর পর্দা ফাঁস করলেন ফয়সাল নিজেই।
বিয়ের পরও একসঙ্গে কাজ করছিলেন জয়া ও ফয়সাল। জনপ্রিয় তারকা দম্পতিও হয়ে ওঠেন তারা। তারপর ছন্দপতন।
জয়ার কোথাও জনপ্রিয়তা বাড়ছে বলে মনে হচ্ছে। ফয়সাল একটু পিছনে ছিল। এই সাফল্য তাদের দাম্পত্য ব্যর্থতার কারণ হতে পারে। তাদের মধ্যে মনোমালিন্য বাড়তে থাকে। দূরত্ব বাড়তে থাকে। চেষ্টা করেও ফয়সাল ঠিক করতে পারেনি। ফলাফল বিবাহবিচ্ছেদ।
উল্লেখ্য, দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১৯৯৮ সালের ১৪ মে ফয়সাল আহসানের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন জয়া। তবে পরবর্তীতে দাম্পত্য কলহের জের ধরে ২০১১ সালে এ সম্পকের ইতি টানেন দুজনেই।