বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন দেশরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বাংলাদেশের ইতিহাসে সবথেকে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকা প্রধানমন্ত্রী। বাংলার মানুষের অগাধ ভালোবাসা আর শ্রদ্ধার কারনেই শেখ হাসিনা আবারবার বাংলার ক্ষমতায় এসেছেন। সম্প্রতি জানা গেল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মিষ্টি ও কচুরিপানার তৈরি রাখি পাঠালো ভারত।
রাখি বন্ধনকে সামনে রেখে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের পেট্রাপোলে বন্ধুত্বের বার্তা। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জন্য উপহার হিসেবে পাঠানো হয়েছে কচুরিপানা দিয়ে তৈরি একটি রাখি। এর সাথে সুস্বাদু মিষ্টিও পাঠানো হয়।
সামনে আমাদের বন্ধনের উৎসব, ভ্রাতৃত্বের উৎসব। আর এই রাখি বন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার বনগাঁ পৌরসভার উদ্যোগে কচুরিপানা ও মিষ্টি দিয়ে তৈরি রাখি বাংলাদেশে পাঠানো হয়েছে। যা পৌঁছে যাবে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে।
বনগাঁ পুরসভা ইতিমধ্যেই ইছামতি নদীর পাতা দিয়ে রাখি তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছিল। ইতিমধ্যেই সেই রাখি পৌঁছে গিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন রাষ্ট্রনায়কের কাছে। বুধবার ভারত-বাংলাদেশের বৃহত্তম স্থলবন্দর পেট্রাপোল-বেনাপোল সীমান্তে যশোরের সংসদ সদস্য শেখ আফিলউদ্দিন এমপির হাতে রাখি ও মিষ্টি তুলে দেন বনগাঁ পৌরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠ।
আগামী দিনে এই রাখি ভারত থেকে বাংলাদেশে রপ্তানি করা যাবে বলে বার্তা দেন শেখ আফিলউদ্দিন। তিনি বলেন, আমাদের জন্য একটি চমৎকার উপহার দেওয়া হয়েছে। আমি শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে এই পুরস্কার গ্রহণ করেছি। আসলে রাখি দিয়ে আমাদের বন্ধন শেষ হয় না। দুই দেশের বন্ধন রাখির থেকেও মজবুত।
অন্যদিকে, বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান গোপাল শেঠের দাবি, রাখি বন্ধন উৎসবকে সামনে রেখে বন্ধুত্বের বার্তা দিতেই এই উদ্যোগ। গোপাল বলেন, দুই বাংলার একপাশে মমতা ব্যানার্জি, অন্যদিকে শেখ হাসিনা। এই দুজনের ধারণা নারীদের আত্মনির্ভরশীল হতে হবে। আর তার মধ্যেই দিতে হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তির বার্তা। বাংলাদেশের সাথে আমাদের বন্ধুত্ব ও ভালোবাসা আজ সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েছে। এদিন গোপাল শেঠ সীমান্ত পাহারায় বিএসএফ জওয়ানদের হাতে রাখি পরিয়ে দেন।
প্রসঙ্গত, ভারত হলো বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। সবসময়ই ভারত বিপদে আপদে বাংলাদেশের পাশে থেকে সাহায্য ও সহযোগিতা করে আসছে। দেশের খাদ্যের চাহিদা পূরণেও ভারত অনেক গভুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।