বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে ৪ দিনের একটি সফরে আজ সোমবার অর্থাৎ ৫ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে পৌঁছান। তাকে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন দেশটির রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম। কিন্তু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী সেখানে রাষ্ট্রীয় সফরে যাওয়ার পর ভারতের প্রধানমন্ত্রী স্বাগত না জানিয়ে কেন একজন প্রতিমন্ত্রী স্বাগত জানিয়েছেন সে বিষয় নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় চলছে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনা। বিষয়টি খোলসা করেছেন ভারতের প্রটোকল বিভাগের একজন উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তা, তিনি জানিয়েছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রটোকল অনুযায়ী সর্বোচ্চ সম্মাননা দেওয়া হয়েছে।
সাউথ ব্লকের প্রটোকল বিভাগের কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর অভ্যর্থনায় কোনো ত্রুটি ছিল বা প্রধানমন্ত্রী মোদি নিজে না গিয়ে অতিথিকে অসম্মান করেছেন এমনটা নয়। তিনি আরও মনে করিয়ে দেন যে, ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে নরেন্দ্র মোদি বিমানবন্দরে যাননি।
যাইহোক, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন এপ্রিল ২০১৭ সালে ভারত সফর করেন, তখন তৎকালীন কেন্দ্রীয় নগর উন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী এবং সঙ্গীতশিল্পী বাবুল সুপ্রিয়কে বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানানোর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সে সময় নরেন্দ্র মোদি প্রটোকল ভেঙে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির হন।
ভারতীয় কর্মকর্তা বলেন, নরেন্দ্র মোদির আমলে শেখ হাসিনার এটিই প্রথম দিল্লি সফর। তাই ভারতের প্রধানমন্ত্রী প্রটোকল ভেঙ্গে বিমানবন্দরে এসেছিলেন বলেই ছিল ভিন্ন ব্যঞ্জনা। কিন্তু ২০১৯ সালের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারত সফরে গেলে দিল্লি বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী। এ সময় ভারতের প্রধানমন্ত্রী বিমানবন্দরে আসেননি।
উল্লেখ্য, নরেন্দ্র মোদির আমন্ত্রণে চার দিনের রাষ্ট্রীয় সফরে নয়াদিল্লি গেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী বিমানটি সোমবার (৫ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টায় (বাংলাদেশ সময়) নয়াদিল্লির পালাম বিমানবন্দরে পৌঁছায়।
সেখানে শেখ হাসিনাকে অভ্যর্থনা জানান ভারতের রেল ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী দর্শনা বিক্রম এবং ভারতে বাংলাদেশের হাইকমিশনার মুহাম্মদ ইমরান। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর সম্মানে বিমানবন্দরে লাল গালিচা সংবর্ধনা দেওয়া হয়।
সেই সময় ৬/৭ জনের একটি সাংস্কৃতিক দল নৃত্য পরিবেশন করেন এবং প্রধানমন্ত্রীকে অভ্যর্থনা জানাতে বাদ্যযন্ত্র বাজানো হয়। এই ৪ দিনের সফরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশটির রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও উপরাষ্ট্রপতির সাথে সাক্ষাৎ করে বিভিন্ন বিষয়ে তুলে ধরে আলোচনা করবেন এবং সেইসাথে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদার করার বিষয়েও আলোচনা করবেন বলে জানা গেছে।