শমসের মবিন চৌধুরী হলেন বাংলাদেশের অন্যতম রাজনৈতিক দল বিএনপির একজন সাবেক প্রখ্যাত নেতা। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের একজন সাহসিক মুক্তিযোদ্ধা। যুদ্ধে তার অসীম সাহসিকতার জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে বীর বিক্রম উপাধগিতে ভূষিত করেছে। সম্প্রতি জানা গেছে বিএনপির এই সাবেক নেতার বাসায় এক প্রীতিভোজে অংশ নিয়েছেন ভারত, ব্রিটেনসহ ঢাকায় নিযুক্ত ৭ দেশের রাষ্ট্রদূত।
মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে রাজধানীর বনানী ডিওএইচএসের বাসায় পৌঁছান রাষ্ট্রদূতরা। জানা যায়, বাংলাদেশে দায়িত্ব শেষ করতে যাওয়া ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামীর সম্মানে শমসের মবিন চৌধুরী ঘরোয়াভাবে এই আয়োজন করেন।
ব্রিটিশ হাইকমিশনার রবার্ট ডিকসন, জার্মান রাষ্ট্রদূত আখিম ট্রস্টার, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত এসপেন রিখটার সেভেনডে, সুইডিশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্দ্রা বার্গ ফন লিন্ডে, অস্ট্রেলিয়ার ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নেরদিয়া সিম্পসন এবং ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূত ইউসেফ রামাদান উপস্থিত ছিলেন। পরে রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাষ্ট্রদূতরা ওই বাড়ি থেকে বের হন।
প্রসঙ্গত, বিগত বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে শমসের মবিন চৌধুরীকে পররাষ্ট্র সচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। ২০০৫-২০০৭ সাল পর্যন্ত তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৭ সালে অবসর গ্রহণের পর শমসের মবিন চৌধুরী ২০০৮ সালে বিএনপিতে যোগ দেন। ২০০৯ সালে দলের ভাইস চেয়ারম্যান হন।
পরে ২০১৫ সালের ২৮ অক্টোবর বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চিঠি দিয়ে বিএনপির রাজনীতি থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেন শমসের মবিন চৌধুরী।
প্রসঙ্গত, শমসের মবিন চৌধুরী তার সমর্থিত দলের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও অনুগত থেকে দলের অগ্রগতির জন্য তিনি নিরলসভাবে কাজ করে গিয়েছেন। দলের প্রতি তার অবদান সত্যিই অপরিসীম। শমসের মবিন চৌধুরী বর্তমানে দলে সক্রিয় না ্যহাকলেও তিনি দলের মঙ্গল কামনা করে সমর্থন করে যাচ্ছেন।