সরকার আবারও বিনা ভোটে ক্ষমতায় থাকতে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিচ্ছে। দীর্ঘ দিন ক্ষমতায় থেকে দেশে উন্নয়নের নামে নিজেদের নেতাকর্মীদের পকেট ভরিয়েছে এই সরকার। নিজেদের অপকর্মের শাস্তি দেশের সাধারন জনগন ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এমনিতে প্রতিটি নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যে আকাশ ছোঁয়া তার ওপর আবারও জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধিতে সকল পন্যের দাম নতুন করে বাড়ায় দিশেহারা দেশের মানুষ। ‘যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে তাদের দেশ শাসন করার অধিকার নেই’ বলে মন্তব্য করে যা বললেন বিএনপি মহাসচিব।
যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে তাদের দেশ শাসন করার অধিকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে তিনি এ কথা বলেন।
বিদ্যুতের লোডশেডিং, তেল ও দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি এবং রাজনৈতিক দমন-পীড়নের প্রতিবাদে ইউটিএবি এই কর্মসূচির আয়োজন করে।
ফখরুল বলেন, সরকার এক দিকে যখন মেগা প্রজেক্টের কথা বলে বাহবা নিতে চায়; পদ্মা সেতুর ওপরে গিয়ে ছবি তোলে তখন তাদের মধ্যে আত্মতুষ্টির সৃষ্টি হয়। সেই আত্মতুষ্টির মধ্য দিয়ে তারা প্রমাণ করতে চায় বাংলাদেশ উন্নয়নের শিখরে পৌঁছেছে। তারা বলতে শুরু করেছে বাংলাদেশ সিঙ্গাপুর-মালয়েশিয়া হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে আমাদের সাধারণ মানুষ না খেয়ে থাকছে এবং দারিদ্র্যের সংখ্যা এখন শতকরা ৪২ ভাগ। মানুষের একটা বড় অংশ দুবেলা খেতে পায় না। এটা আমার কথা নয়, গবেষকদের কথা।
তিনি বলেন, আজকে একটা লুটেরা এলিট শ্রেণি ভালো আছে। এরা আওয়ামী লীগের রাজনীতিবিদ, মন্ত্রী থেকে শুরু করে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতারা; আমলা, আমি দুঃখের সঙ্গে বলতে চাই, আরও আছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু উচ্ছিষ্টভোগী শিক্ষক, কিছু বুদ্ধিজীবী। তারা টকশোতে কথা বললে মনে হয় মোমেন সাহেব বলেছেন- ‘ বেহেশতে আছি’ এটা অমূলক কোনো কথা নয়। তারা প্রমাণ করতে চায় মানুষ বেহেশতে আছে। এক কথায় এই সরকার লুটেরাদের সরকার। এ সরকারের সঙ্গে জনগণের কোনো সম্পর্ক নেই। এই সরকার ইতিমধ্যেই এই রাষ্ট্রকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
এই সরকার বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে না অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, একের পর এক তার প্রমাণ দিচ্ছেন। দেশের মানুষ যুদ্ধ করে নিজেদের স্বাধীন করেছে এবং নিজেদের স্বাধীন বলে পরিচয় দিতে গর্ব বোধ করে তখন আওয়ামী লীগের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভারত সরকারকে বলেন, সাহায্য করবেন শেখ হাসিনাকে টিকিয়ে রাখার জন্য। অর্থাৎ তারা বলতে চায় এই সরকার ভারত সরকারের আনুকূল্যে টিকে আছে। আমি গতকালও তাদের বলেছি, আমরা এর ব্যাখ্যা জানতে চাই। কিন্তু পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার জায়গা থেকে সরে আসেননি। তিনি একটি বিবৃতি দিয়েছেন এবং সেই বিবৃতিতে তিনি একই কথা পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
সুতরাং আমাদের বুঝে নিতে হবে, পরিষ্কার ভাষায় বলতে হবে যারা অন্যের আনুকূল্যে টিকে থাকে তাদের এ দেশ শাসন করার কোনো অধিকার নেই। তাদের এ দেশের সরকারে যাওয়ার কোনো অধিকার নেই, বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি আরও বলেন, আমাদের সংকটের মূলে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় রয়েছে। আওয়ামী লীগ জোর করে, ভোট না দিয়ে, নির্বাচিত না হয়ে, শুধু রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করেই আজ ক্ষমতায় বসে আছে। জনগণকে সঙ্গে নিয়ে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীকে সরিয়েছিলাম, নব্বইয়ের অভ্যুত্থানে যেভাবে স্বৈরাচারকে সরানো হয়েছিল, এখন আমাদের দায়িত্ব জনগণকে সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশ ধ্বংসকারী এই ফ্যাসিস্ট সরকারকে সরিয়ে একটা সত্যিকার অর্থে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে।
প্রসঙ্গত, সরকার বিনা ভোটে ক্ষমতায় টিকে থাকতে অন্য দেশের সহযোগিতা চায় এতেই প্রমান হয় সরকার জন বিছিন্ন বলে মন্তব্য করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেনম এ সরকার এ দেশের থাকার কোনো অধিকার নেই।