বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি দেশ ও দেশের মানুষের সার্বিক উন্নয়নের জন্য সর্বত চেষ্টা করে যাচ্ছেন। ভারত হলো বাংলাদেশের প্রতিবেশী বন্ধু দেশ। বাংলাদেশের ভারতের বন্ধুত্বপূর্ন সম্পর্ক অনেক আগে থেকেই বিরাজমান। এই সম্পর্ক হলো চিরদিনের সম্পর্ক। ভারত ও বাংলাদেশ একে অপরের সাহায্যে সব সময় এগিয়ে আসে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিনি বলেছেন এবারের সফরে একদম খালি হাতে ফিরেছি, এটা বলতে পারবো না।
সম্প্রতি ভারত সফর শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সরকারপ্রধান বলেন, এই সফর থেকে খালি হাতে ফিরেছি তা বলতে পারব না। বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে সব বিষয়ে সহযোগিতা করছে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের এক নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। ভারতের শীর্ষ পর্যায় থেকে সাধারণ মানুষের মধ্যে বাংলাদেশের প্রতি যে ভালোবাসা দেখেছি তা সত্যিই বিস্ময়কর। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যার চারদিকে ভারত রয়েছে। একদিকে একটু একটু করে মিয়ানমার। বাকি সীমান্তের ওপারে বঙ্গোপসাগর, এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।
শেখ হাসিনা বলেন, করোনার কারণে দীর্ঘ তিন বছর বিরতির পর এই সফরে উল্লেখযোগ্য অর্জন রয়েছে। আমি এই সম্পর্ককে সুসংহত করে এগিয়ে যেতে চাই। তিনি বলেন, একটি দেশের সমস্যা থাকতে পারে, আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে। আমাদের নীতি সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারো সাথে শত্রুতা নয়।
প্রসঙ্গত, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৫ সেপ্টেম্বর চার দিনের সফরে ভারতে যান। সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলওয়ে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়।
প্রসঙ্গত, ভারতের বিভিন্ন ধরণের খাদ্যশস্য আসে বাংলাদেশে ফলে দেশের মানুষের খাদ্য চাহিদার অনেক অংশ এই ক্ষেত্রে পূরণ হয়ে থাকে। আবার বাংলাদেশও ভারতকে বিভিন্ন ধরণের সাহায্য করে থাকে। এভাবেই দুদেশের মধ্যে একটি নিবিড় সম্পর্ক বজায় রয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার ক্ষমতায় আসার পর দেশের সার্বিক অবস্থার অনেক উন্নতি হয়েছে। ভবিষ্যতে আরো হবে বলে আশা করছে বাংলার মানুষ।