চারদিনের ভারত সফর শেষে সম্প্রতি গত ৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় ফেরেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার এবারের ভারত সফর শেষে তিনি যে একেবারে খালি হাতে ফিরবেন না, তা হয়তো অনেকেই আন্দাজ করতে পেরেছিল সকলেই।
আর এরই জের ধরে এবার জ্বালানি তেল নিয়ে সুখবর দিলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেছেন, দেশের জ্বালানি সংকট সমাধানে ভারত পাশে থাকবে। ভারতের শিলিগুড়ি থেকে বাংলাদেশের দিনাজপুর পার্বতীপুর পর্যন্ত বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল আনা হবে। এতে তেল পরিবহনের খরচ অনেকটাই কমে যাবে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারত সফর নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভারত থেকে পাইপলাইনের মাধ্যমে তেল আনার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। এ ছাড়া এলএনজি আমদানির বিষয়টিও ভারতের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এই প্রকল্পের অধীনে ১৩১ কিলোমিটার পাইপলাইন রয়েছে। এর মধ্যে বাংলাদেশে ১২৬ কিলোমিটার এবং ভারতে ৫ কিলোমিটার ভারত সরকারের অর্থায়নে নির্মাণাধীন রয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, এই ভারত সফরে আমাদের অর্জনও কম নয়। পাইপলাইন নির্মাণের ফলে জ্বালানি তেলের পরিবহন খরচ কমবে। এছাড়াও দেশের উত্তরাঞ্চলের চাহিদা অনুযায়ী ভারত থেকে সহজেই, দ্রুত এমনকি প্রতিকূল পরিবেশেও ডিজেল আমদানি করা যায়। বর্তমানে ভারত থেকে বছরে ৬০-৮০ হাজার মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা হয়। পাইপলাইন নির্মাণ শেষ হলে ভারত থেকে বছরে প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন ডিজেল আমদানি করা সম্ভব হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী তার ভারত সফরের অর্জনের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সফরকালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পানি ব্যবস্থাপনা, রেলওয়ে, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, তথ্য ও সম্প্রচার বিষয়ে সাতটি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে, যা আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ সফরে যাওয়ার কথার থাকলেও শারীরিক অসুস্থতার কারনে শেষ মুহূর্তে এসে এ সফর থেকে বাদ পড়েন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। অসুস্থতার কারণে চিকিৎসকের শরণাপন্নও হতে হয় তাকে।