Saturday , December 14 2024
Breaking News
Home / Countrywide / ভারত থেকে কোথায় গিয়ে আবাস গড়বেন শেখ হাসিনা?

ভারত থেকে কোথায় গিয়ে আবাস গড়বেন শেখ হাসিনা?

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভবিষ্যত নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠছে। তাকে নিয়ে গুঞ্জন চলছে—তিনি কি দেশে ফিরবেন, নাকি ভারতেই রাজনৈতিক আশ্রয় নিয়ে থাকবেন? ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক আশ্রয় চেয়ে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি।

বর্তমানে শেখ হাসিনা কমপক্ষে চারটি দেশে যাওয়ার চেষ্টা করছেন: যুক্তরাজ্য, সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব অথবা ফিনল্যান্ডে। অস্ট্রেলিয়ার ওয়েব পোর্টাল দ্য কনভারসেশনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে।

তবে এমন কথা আগেও ছড়িয়েছিল বিভিন্ন মাধ্যমে। সেই সময় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, তার মা আপাতত কোথাও যাচ্ছেন না। কোথাও যাবার জন্য আবেদনও করেননি। নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলে তিনি দেশে ফিরবেন বলেও জানান জয়।

এছাড়া, ভারতের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে এক প্রতিবেদন বলছে, ভারত যদি শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেয়, তবে তাকে ফিরিয়ে নেওয়া কঠিন হবে। ভারতের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই রাজনৈতিক আশ্রয়প্রার্থীকে ফিরিয়ে দেওয়ার, কিন্তু ঢাকা-দিল্লির সম্পর্ক জোরদার করার ক্ষেত্রে হাসিনার বিষয়টি ভারতের জন্য অস্বস্তির সৃষ্টি করেছে।

ভারতে শেখ হাসিনার অবস্থান নিয়ে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা উদ্বিগ্ন। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা দায়ের হয়েছে এবং গণহত্যার অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তদন্ত চলছে।

এদিকে, ভারতীয় সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জানিয়েছেন, ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে ফিরিয়ে বিচারের মুখোমুখি করার বিষয়ে আলোচনা চলছে।

গত জুলাইয়ের শুরুতে কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন দমন করতে ছাত্রলীগ এবং আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনের পর, ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারত চলে যান, যা আওয়ামী লীগের টানা ১৬ বছরের শাসনের অবসান ঘটায়।

About Nasimul Islam

Check Also

মাত্র ১৫ মিনিটে বাংলাদেশ দখলের হুমকি, উত্তেজনা পশ্চিমবঙ্গে

পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের সংখ‍্যালঘু সেলের মালদা জেলা সভাপতি টিঙ্কু রহমান বুধবার (১১ ডিসেম্বর) এক বিতর্কিত …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *