শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। এরপর থেকে তিনি ভারতের আশ্রয়ে দুই মাস সেখানে অবস্থান করেন। জানা গেছে, শেখ হাসিনা ভারত ছেড়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে আশ্রয় নিয়েছেন।
তবে তিনি কবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে পৌঁছান তা এখনো জানা যায়নি। সাবেক সংসদ সদস্য শামীম ওসমানকে সম্প্রতি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দেখা গেছে। শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতের আজমানে শামীম ওসমানের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এর আগে একাধিক সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কাছে জানতে চেয়েছে শেখ হাসিনা দিল্লিতে কীভাবে অবস্থান করছেন? জবাবে ভারত বলেছে, তিনি খুব অল্প সময়ের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের একটি দেশে চলে যাবেন।
এর আগে শেখ হাসিনা সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাজনৈতিক আশ্রয় চাইলে দেশটি রাজি হয়নি।ব্রিটেন, যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্যান্য দেশগুলোর মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতও শেখ হাসিনাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে শ্রেফ মানা করে দেয়।
এদিকে, কোন প্রেক্ষাপটে এবং কি শর্তে শেষমেশ আরব আমিরাত আজমাইন শহরে শেখ হাসিনাকে আশ্রয়ের অনুমতি দিয়েছে সে সম্পর্কেও সুনির্দিষ্ট কোন তথ্য এখনো নিশ্চিত করা যায়নি। আরব আমিরাতের আজমাইনে শেখ হাসিনা ঠিক কতদিন অবস্থান করবেন এবং তার পরবর্তী গন্তব্য কোথায় সে বিষয়েও জানা যায়নি।
বাংলাদেশ ছেড়ে ভারতে থাকার জন্য শেখ হাসিনার ভিসার মেয়াদও শেষ হয়ে যায় বেশ কিছুদিন আগে। আন্তর্জাতিক কূটনীতিক মহলে শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নিয়ে মোদি সরকারকে দেশের ভেতরে-বাইরে যথেষ্ট চাপের মুখে পরতে হয়েছে। মোদি সরকারকে বিব্রতকর অবস্থার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তত্ত্বাবধায়ক সরকার বাংলাদেশের ক্ষমতাভার গ্রহন করেন। শেখ হাসিনার প্রায় ১৬ বছরের শাসনামলের দূর্ণীতি, অনিয়ম, দুঃশাসন আর অসংখ্য বিচার বহির্ভূতভাবে হত্যাকান্ডের জন্য এই সাবেক সরকার প্রধানকে দেশে ফেরত এনে বিচারের দাবিতে এখনো ছাত্র-জনতা এবং তত্ত্বাবধায়ক সরকার সোচ্চার ও সক্রিয় রয়েছেন।