ড. হাছান মাহমুদ তার পদে অধিষ্ঠিত হবার পরে দেশের তথ্য ও সম্প্রচার খাত অনেক উন্নত হয়েছে। তার বিচক্ষণ পরিচালনা ও দক্ষতার জন্যই এমনটা সম্ভব হয়েছে। পূর্বে বন ও পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে ড. হাছান মাহমুদ সততার সহিত দায়িত্ব পালন করেছেন। সম্প্রতি জানা গেছে তিনি বলেছেন অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর কথা শুনে মনে হয় ভারতের বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী।
এবার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর কথা শুনে মনে হচ্ছে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়ী। মঙ্গলবার বিকেলে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক ব্রিফিংয়ে সিলেটের বন্যা নিয়ে রুহুল কবির রিজভীর দেওয়া বক্তব্যের উল্লেখ করে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সিলেটে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি।
এদিকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সিলেটের বন্যা প্রধানমন্ত্রীর জন্য। সাংবাদিকরা বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তথ্যমন্ত্রী বলেন, রিজভী সাহেবের কথা শুনে মনে হয়েছে ভারতের আসাম ও মেঘালয়ে বন্যার জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। সিলেটে এক হাজার মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। ১২২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছিল চেরাপুঞ্জি এবং মেঘালয়ে। সিলেটেও ১০০ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে, যে কারণে এই বন্যা হয়েছে।
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, রিজভী শাহের কথা শুনে মনে হচ্ছে ১২২ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাতের জন্য প্রধানমন্ত্রী দায়ী। তাই তার কথায় দাঁড়ায়। আসলে কোথায় কি বলব বুঝতে পারছি না। সব কিছুর জন্য সরকারকে দোষারোপ করার বাতিক সেখান থেকেই বলা হয়। এগুলো বিভ্রান্তিকর বক্তব্য। তাহলে তার বক্তব্য অনুযায়ী এত বৃষ্টির জন্য প্রধানমন্ত্রী বা সরকার দায়ী।
তিনি বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি প্রধানমন্ত্রী সেখানে ছুটে গেছেন। দলের নেতাদের মধ্যে যারা ত্রাণ তৎপরতার সঙ্গে আছেন তাদের উৎসাহিত করেছেন। সেখানে তিনি প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন। স্বস্তির বিষয় হলো আজ বৃষ্টি হয়নি। বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে। কোথাও কোথাও ৪ থেকে ৫ ফুট পানি নেমে গেছে। কিন্তু আমাদের দেশ বন্যাপ্রবণ দেশ। প্রতিবছর অন্তত ২৫ শতাংশ জমি বন্যার পানিতে তলিয়ে যায়। ১০ বছর পর আমাদের ৭৫% জমি পানির নিচে। বন্যা আমাদের দেশে নিয়মিত ঘটনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এটা মোকাবেলায় সব সময় প্রস্তুত থাকতে হবে।
এদিকে সিলেট মহানগর বিএনপির নেতারা বলছেন, আওয়ামী লীগের নেতারা ঢাকায় বসে কথা বলছেন। সিলেট অঞ্চলের সব এমপি-মন্ত্রীরা আছেন। করোনার জন্য যেতে পারেননি পরিকল্পনামন্ত্রী। বিএনপি ঢাকায় বসে কথা বলছে, তাই তাদের জানার কথা নয়।
প্রসঙ্গত, বন্যায় ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বাংলাদেশের উত্তর ও পূর্বাঞ্চল। মানুষ দিক না পেয়ে ছুটছেন প্রাণ বাঁচাতে। সবকিছু ভেসে গেছে বন্যার পানিতে। বাংলাদেশের পাশাপাশি ভারতও হয়েছে ভয়াবহ বন্যার শিকার। ভারতে অনেক অঞ্চল চলে গেছে পানির নিচে।