শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান ও তার পরিবারের সদস্যদের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নানা প্রশ্ন উঠছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মোদি সরকারের অধীনে শেখ হাসিনা কার্যত গৃহবন্দি অবস্থায় রয়েছেন।
বিশ্লেষকদের দাবি, শেখ হাসিনার সঙ্গে সরাসরি দেখা করার অনুমতি পাচ্ছেন না কেউই। এমনকি তার একমাত্র ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ও এ বিষয়ে ব্যর্থ হয়েছেন। গত আগস্টে জয় ঘোষণা দিয়েছিলেন যে তিনি শিগগিরই ভারতে গিয়ে মায়ের সঙ্গে দেখা করবেন। কিন্তু পাঁচ মাস পেরিয়ে গেলেও সেই সাক্ষাৎ আজও সম্ভব হয়নি।
শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, যিনি ব্রিটিশ নাগরিক এবং তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক, যিনি যুক্তরাজ্যের লেবার পার্টির একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য, তারাও এখন কার্যত পর্দার আড়ালে। টিউলিপ সিদ্দিকের ওপর যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দুর্নীতির অভিযোগের চাপ ক্রমশ বাড়ছে।
যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক সজীব ওয়াজেদ জয়ও বর্তমানে ভারতে প্রবেশ করতে পারছেন না। বিষয়টি শেখ হাসিনার পরিবারের অবস্থান নিয়ে আরও প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের দীর্ঘ প্রবাসে থাকা, এমনকি আরাফাত রহমান কোকোর জানাজায় অংশ নিতে না পারার মতো ঘটনাগুলো আজ যেন অন্যভাবে শেখ হাসিনা পরিবারের সামনে ফিরে এসেছে।
অন্যদিকে, বেগম খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনের রয়্যাল ফ্যামিলি ক্লিনিকে উন্নত চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিএনপি বলছে, এই পরিস্থিতি বর্তমান সরকারের জন্য এক প্রকার রাজনৈতিক প্রতিশোধের চিত্রই প্রতিফলিত করছে।
বিশ্লেষকদের মতে, শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ওপর চলমান চাপ এবং গৃহবন্দি অবস্থার সম্ভাব্যতা বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের জটিলতার দিকে ইঙ্গিত দিচ্ছে। বিষয়টি কীভাবে সমাধান হবে তা সময়ই বলে দেবে।